Wednesday, October 9, 2024
দেশ

১৮ বছর বয়সী হিন্দু মেয়েকে ধর্ষণ ও খুনে অভিযুক্ত সিকান্দার খানের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল যোগী প্রশাসন

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের ফতেহপুরে কর্তৃপক্ষ ২৭ জুন মঙ্গলবার সিকান্দার খানের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। সিকান্দার খানের বিরুদ্ধে ১৯ বছর বয়সী এক মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে তার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ২৬ শে জুন সিকান্দার খানকে গ্রেপ্তার করে। একটি হিন্দু মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং তারপরে তাকে যৌন নির্যাতনের পর হত্যা করে। অভিযুক্তরা সিমেন্টের ব্লক দিয়ে নির্যাতিতার মুখ পিষে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে মেয়েটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

অভিযুক্ত এবং মেয়েটি একটি বিয়েতে দেখা হয়েছিল। যেখানে ছেলেটি নিজেকে সোনু নামে একজন হিন্দু ব্যক্তি হিসাবে পরিচয় দেয়। সে মেয়েটিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তার সাথে একা দেখা করতে বলে। মেয়েটি তখন তার কাকাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে পালিয়ে যায় এবং সোনুর সাথে দেখা করে। এরপর অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণ করে এবং সিমেন্টের ব্লক দিয়ে তার মাথা পিষে দেয়।


মেয়েটি মারা গেছে ভেবে সিকান্দার ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। তবে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা এসে মেয়েটিকে খুঁজতে গিয়ে দেখতে পায় সে মরনাপন্ন। মেয়েটিকে কানপুর হ্যালেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতারও করে। এসপি রাজেশ কুমার সিং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন যে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

রিপোর্ট অনুসারে, নির্যাতিতা মেয়েটি গুজরাটের আহমেদাবাদের বাসিন্দা এবং তার কাকাতো ভাইয়ের বিয়েতে ফতেহপুর এসেছিল। সে অভিযুক্তের ফাঁদে পড়েছিল যে নিজেকে সোনু নামে একজন হিন্দু বলে পরিচয় দেয়।