Monday, May 19, 2025
আন্তর্জাতিক

কংগ্রেসে মোদীর ভাষণে মোহিত মার্কিন আইন প্রণেতারা, ভাষণকালে ১৫ বার দাঁড়িয়ে অভিনন্দন, মোট ৭৯ বার করতালি

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদীর ভাষণ শুনতে হাজির ছিলেন সেনেট এবং হাউস অফ রিপ্রেসেন্টেটিভসের সদস্যরা। ভাষণে মোদী সন্ত্রাসবাদ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চিনের সীমান্ত আগ্রাসনের মতো গুরুতর বিষয়ে কথা বলেন।

মোদীর ভাষণকালে মোট ১৫ বার মার্কিন আইন প্রণেতারা উঠে দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে। মোদীর প্রায় ১ ঘন্টার ভাষণে মোট ৭৯ বার অধিবেশন কক্ষ ভরে ওঠে করতালির আওয়াজে। মোদীর ভাষণ শেষে বহু কংগ্রেস সদস্যই তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে আসেন, অটোগ্রাফ চান। অনেকে মোদীর সঙ্গে সেলফি তোলেন।


ভাষণে মোদী বলেন, ‘মার্কিন কংগ্রেসে ভাষণ দেওয়া সম্মানের বিষয়। আর এই নিয়ে আমি দ্বিতীয়বার আমি বক্তব্য রাখলাম। বিগত কয়েক বছরে এআইয়ের (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) অনেক উন্নতি হয়েছে। এআই ছাড়া আরও একটি ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে। সেটা হল ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক।’

ভাষণে ৯/১১ আমেরিকার টুইন টাওয়ার হামলা থেকে মুম্বাইয়ের ২৬/১১ হামলার উল্লেখ করেন মোদী। মোদী বলেন, ‘রাষ্ট্র সমর্থিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। কট্টরপন্থা এবং সন্ত্রাসবাদ এই বিশ্বের জন্য এক বড় হুমকি।’

মোদী বলেন, ‘ধর্মীয় কট্টরপন্থার নীতি নতুন মোড়কে সামনে আসছে। তবে এদের উদ্দেশ্য একটাই। সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির শত্রু। যে শক্তি সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে এবং সন্ত্রাসবাদের রফতানি করে তাদের দমন করতে হবে।’

চিনকে বিঁধে মোদী বলেন, ‘রাষ্ট্রসংঘের সনদের নীতির প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি মান্যতার উপর ভিত্তি করে বিশ্বব্যবস্থা গড়ে ওঠে।’

রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে মোদী বলেন, ‘এটা যুদ্ধের যুগ নয়। এখন আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে। যুদ্ধের কারণে অনেকে কষ্টে আছেন। আমি জনসমক্ষে বহুবার বলেছি, যুদ্ধ নয় শান্তি চাই।’