বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের: তুলসি গ্যাবার্ড
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা (ডিএনআই) বিভাগের প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড রবিবার ভারত সফরে এসেছেন। সফরের প্রথম দিনেই তিনি একটি হাই-প্রোফাইল নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেন। এই সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ডসহ আরও কয়েকটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন। ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এই সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন।
বিশেষ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
সোমবার এনডিটিভিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ভারতীয় সংবাদ উপস্থাপক এবং সাংবাদিক বিষ্ণু সোমের সাথে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন এবং সহিংসতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাও আমেরিকার জন্য উদ্বেগজনক।
তুলসি গ্যাবার্ড বলেন, “হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়ন, হত্যা ও নির্যাতন হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের জন্য এটি একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি আরও জানান যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভা ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা শুরু করেছে। তবে এখনও এ নিয়ে উদ্বেগ কাটেনি।
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সতর্কতা
সাক্ষাৎকারে তুলসি গ্যাবার্ড আরও বলেন যে, বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি নয়, সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের বিষয়ও আমেরিকার নজরে রয়েছে। “বিশ্বব্যাপী ইসলামবাদী সন্ত্রাসবাদ রোধে ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে,” বলেন তিনি।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কের নতুন দিগন্ত
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুদৃঢ় কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আশাবাদী তুলসি গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন একসাথে কাজ করে সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চায়।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করতে ট্রাম্প প্রশাসন ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অনেকদূর এগিয়েছেন।
বিশ্ব নিরাপত্তা কনফারেন্সে তুলসির ভূমিকা
ভারত সফরের প্রথম দিনেই তুলসি গ্যাবার্ড বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা প্রধানদের সাথে এক গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশ নেন। সভায় মূলত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ইস্যু, সন্ত্রাস দমন এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা হয়।
মার্কিন প্রশাসনের গভীর নজরদারি
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তুলসি গ্যাবার্ডের ভারত সফর এবং নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণ মার্কিন-ভারত কৌশলগত সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। পাশাপাশি বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও মার্কিন প্রশাসনের গভীর নজরদারি নিশ্চিত করবে। NDTV