যুদ্ধক্ষেত্রে কাটানোর সময় কিংবা অন্য কোনও চ্যালেঞ্জের সময় গীতার বাণী আমাকে পথ দেখিয়েছে: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা প্রধান ও শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় এই সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার বিষয়টি।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় তুলসী গ্যাবার্ডের কড়া বার্তা
সম্মেলনে বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে জোরালো বার্তা দিয়েছেন তুলসী। গ্যাবার্ড স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, উগ্রপন্থা এবং চরমপন্থার ক্রমবর্ধমান প্রবণতা নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
সেনাবাহিনী থেকে গোয়েন্দা প্রধান
তুলসী গ্যাবার্ডের কর্মজীবন বেশ বিচিত্র। রাজনীতিতে প্রবেশের আগে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদায় কর্মরত ছিলেন এবং যুদ্ধক্ষেত্রেও দায়িত্ব পালন করেছেন একাধিকবার। তার সামরিক অভিজ্ঞতা এবং রাজনৈতিক দূরদর্শিতা তাকে গোয়েন্দা প্রধানের পদে বসিয়েছে।
গীতা থেকে প্রেরণা
তুলসী গ্যাবার্ড কেবল তার রাজনৈতিক অবস্থানেই নয়, ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্যেও আলোচিত। আমেরিকান কংগ্রেসে নির্বাচিত হওয়া প্রথম হিন্দু সদস্য হিসেবে তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টিটিভে শপথ গ্রহণের সময় ‘ভগবত গীতা’ হাতে নিয়ে শপথ নেওয়ার ঘটনাটি তাকে আরো আলোচনায় নিয়ে আসে।
ভারত সফরে এসেও গ্যাবার্ড গীতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছেন। বার্তা সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, কঠিন সময়ে কিভাবে গীতার শিক্ষা তাকে পথ দেখিয়েছে। বিশ্বের নানা প্রান্তে যুদ্ধক্ষেত্রে কিংবা অন্য কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গীতার বাণী আমাকে পথ দেখিয়েছে। ভালো এবং খারাপ সময়েও। গীতার বাণী আমাকে শক্তি এবং শান্তি প্রদান করে।
কর্মযোগ এবং ভক্তিযোগের বার্তা
২০২০ সালে এক বক্তৃতায় তুলসী গ্যাবার্ড শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ভগবত গীতায় উল্লিখিত ভক্তিযোগ এবং কর্মযোগ মেনে চলা উচিত। তিনি বিশ্বাস করেন, গীতার শিক্ষার আলোকে জীবনের কঠিন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করা সম্ভব।
বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কূটনৈতিক ও সামরিক কৌশলের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক শিক্ষার গুরুত্বও তুলে ধরেন তুলসী।