Thursday, April 25, 2024
দেশ

‘ভারতীয়-হিন্দু পরিচয়ের কারণেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি’, অভিযোগ লন্ডনের পড়ুয়ার

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: গোটা বিশ্বেই আজ ভারতের জয়জয়কার। এর মধ্যেই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। ভারতীয়-হিন্দু হওয়ার দরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি এক ভারতীয় পড়ুয়াকে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন লন্ডনের এক ভারতীয় পড়ুয়া। ওই পড়ুয়ার নাম করণ কাতারিয়া বলে জানা গেছে। সে আইনের ছাত্র। করণ দাবি করেছেন, তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকেই ভারতীয়-হিন্দুকে ছাত্র ইউনিয়নকে নেতা হিসেবে দেখতে চায়নি।

লন্ডন স্কুল অফ ইকনোমিক্সের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে করণ মনোনয়ন জমা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। করণ জানান, ‘কর্তৃপক্ষ প্রথমে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল। তারপর তারা আমাকে বলেছিল আমার কাউন্সেলিং দরকার…! ক্যাম্পাসে এই ধরনের অপমানের শিকার হওয়ার একটা সীমা আছে।’

করণ কাতারিয়া

করণ আরও বলেন, ‘আমাকে একটি হিন্দু চরমপন্থী গোষ্ঠীর সাথে যুক্ত থাকার জন্য মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তারপর তারা আমাকে ভোট দেওয়ার জন্য ছাত্রদের ‘জবরদস্তি’ করার জন্য অভিযুক্ত করে, যা যুক্তরাজ্যে একটি ফৌজদারি অপরাধ। যদি তাদের কাছে এটি সমর্থন করার জন্য প্রমাণ থাকে, তাহলে তাদের ইউকে আইনের অধীনে আমার বিচার করা উচিত এবং দোষী প্রমাণিত হলে, আমাকে জবাবদিহি করা উচিত। কিন্তু যখন তারা কোনো প্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়, তখন তারা আমাকে ভোটের জায়গার দুই মিটারের মধ্যে থাকার কারণে অযোগ্য ঘোষণা করে। আমি দাবি করি যে তারা সত্য প্রকাশের জন্য সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করুন।’

করণের অভিযোগ, “আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং বিভিন্ন ছাত্র ইউনিয়ন সমিতির মাধ্যমে বেশ কিছু ঘৃণ্য বার্তা পেয়েছি, যার সবকটিই আমার জাতীয়তা এবং ধর্মকে তুলে ধরেছে। আমাকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী, ফ্যাসিবাদী, কুয়ারফোবিক এবং ইসলামফোবিক হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং সমস্ত ছাত্র ইউনিয়ন সোসাইটি জুড়ে আমার বিরুদ্ধে একটি বিদ্বেষমূলক প্রচারণা চালানো হয়েছিল।”

আমি LSESU এবং রিটার্নিং অফিসারকে আমার বিরুদ্ধে জঘন্য হামলার প্রকাশ্যে নিন্দা করার জন্য অনুরোধ করেছি। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের অগণতান্ত্রিক কৌশলের কোনো স্থান নেই। নির্বাচনকে আমার ইশতেহার এবং নীতিগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর ফোকাস করা উচিত, আমার জাতীয়, ধর্মীয় বা জাতিগত পরিচয়ের উপর নয়।

LSE বা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন কেউই তার বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বার্তা এবং শ্লীলতাহানির প্রচারণার নিন্দা করে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

নির্বাচনী প্রক্রিয়া চলাকালীন কাতারিয়াকে কোণঠাসা করার একটি কারণ হল- তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচারে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং ভারতীয়দের মাধ্যমে এলএসই ছাত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন ইভেন্টে ঔপনিবেশিকতা এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ঐতিহ্য এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ইভেন্টের আয়োজন করেছিলেন।

উল্লেখ্য, হরিয়ানা থেকে লন্ডনে পড়তে যান ২২ বছর বয়সী করণ কাতারিয়া।

তথ্যসূত্র: The New Indian