Wednesday, April 23, 2025
Latestদেশ

বাসভবন থেকে উদ্ধার বিপুল অর্থ, বিচারপতির বিচারক দায়িত্ব স্থগিতের আদেশ সুপ্রিম কোর্টের

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি যশবন্ত বর্মার (Justice Yashwant Varma) সরকারি বাসভবন থেকে  বিপুল পরিমানে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই মামলার তদন্তের রিপোর্ট পেশ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত অভিযুক্ত ওই বিচারপতির বিচারক দায়িত্ব স্থগিতের আদেশ দিয়েছে। 

তিন সদস্যের কমিটি গঠন

১৪ই মার্চ বিচারপতি বর্মার বাসভবনে অগ্নিকান্ডের পর বিপুল পরিমানে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে এই তদন্ত শুরু হয়। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এই ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি তৈরী করেছেন। এই কমিটিতে রয়েছেন পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশের প্রধান বিচারপতি জি এস সান্ধাওয়ালিয়া এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিবরামন। এর পাশাপাশি বিচারপতি বর্মাকে যাবতীয় বিচারকের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড

গত সপ্তাহে বিচারপতির বাড়িতে আগুন লেগে যাওয়ায় সেখানে উপস্থিত হন দিল্লির পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় অরোরা। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও দিল্লি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি কে উপাধ্যায়কে শেয়ার করা পুলিশ কমিশনারের একটি ভিডিওতে পোড়া টাকা দেখানো হয়েছে, যা তদন্তকে উস্কে দিয়েছে বলা যেতে পারে।

নগদ ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার

টাকা উদ্ধারের পর বিচারপতি বর্মাকে দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম। এই প্রসঙ্গে এলাহাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশন বর্মার বদলির প্রতিবাদে যে প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল তাতে বলা হয়েছে নগদ ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। যদিও কত টাকা উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে সরকারি ভাবে কেউ মুখ খোলেনি। এই নিয়ে এলাহাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনিল তিওয়ারি বলেন, “আমজনতার বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পাওয়া গেলে তার জেল হয়ে যায়। আর জজ সাহেবের বাড়ি থেকে ১৫ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হলে তাঁকে ছেড়ে দিয়ে শুধু নিজের হাইকোর্টে ফেরত পাঠানো হবে? এ কেমন বিচার?”

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা

যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করেছেন বিচারপতি বর্মা। তিনি বলেন “আমি স্পষ্টভাবে বলছি যে আমি বা আমার পরিবারের কোনও সদস্য কখনও সেই স্টোররুমে কোনও নগদ টাকা রাখেননি। এই নগদ টাকা আমাদের বলে ধারণাটি অযৌক্তিক। স্টোররুমটি স্টাফ কোয়ার্টারের কাছে একটি খোলা, সাধারণভাবে ব্যবহৃত জায়গা, আমার থাকার জায়গা থেকে বিচ্ছিন্ন।”

বর্ষা দাস

বর্ষা দাস গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পিজি ডিপ্লোমা করেছেন। অবসর সময়ে ঘুরতে, লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।