Sunday, September 15, 2024
দেশ

প্রয়াত হলেন ‘সুলভ শৌচালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধেশ্বর পাঠক

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: একটা যুগের অবসান হলো। প্রয়াত হলেন ‘সুলভ শৌচালয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা বিন্ধেশ্বর পাঠক। স্বাধীনতা দিবসের দিনই না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।

মঙ্গলবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করার সময়েই আচমকাই অসুস্থবোধ করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির এইমসে। চিকি‍ৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টা ব্যর্থ করে না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি।

১৯৪৩ সালের ২ এপ্রিল বিহারের হাজিপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন বিন্ধেশ্বর পাঠক। বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ছাত্রজীবন থেকেই সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন তিনি। 

১৯৬৮ সালে বিহার সরকারের তরফে গান্ধী জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির সদস্য হিসেবে মেথরদের জীবনের অসহনীয় যন্ত্রণা তাঁকে নাড়া দেয়। যেখানে সেখানে খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধে বন্ধের উদ্দেশে ১৯৭০ সালে গড়ে তোলেন সুলভ আন্তর্জাতিক সমাজসেবা সংস্থা। ওই সংস্থার উদ্যোগেই ১৯৭৩ সালে বিহারের আরা পুরসভায় প্রথম তৈরি হয়েছিল সুলভ শৌচালয়।

গোটা দেশে বিহারের আরা পুরসভার সুলভ শৌচালয়ের কথা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দেশের প্রতিটি কোণে গড়ে ওঠে সুলভ শৌচালয়। প্রায় ১৫ লাখ সুলভ শৌচালয় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দেশজুড়ে। খোলা জায়গায় শৌচকর্ম বন্ধে বিন্ধেশ্বর পাঠকের উদ্যোগ গোটা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছিল। রেলের স্বচ্ছ মিশন অভিযানেরও অন্যতম পথিকৃ‍ৎ ছিলেন বিন্ধেশ্বর পাঠক। সমাজসেবায় তাঁর বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মবিভূষণ সম্মান প্রদান করে।