বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবার রাস্তায় নামলেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুরা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম! বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন পাকিস্তানের সংখ্যালঘু হিন্দুরা। শুক্রবার জাতীয় সংখ্যালঘু দিবসে রাস্তায় পদযাত্রা করেন তাঁরা।
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে অনেক সাধারণ মানুষও পদযাত্রায় অংশ নেন। এ সময় তাদের হাতে বৈষম্য এবং দাবিদাওয়া সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ছিলো। তাদেরকে স্লোগানে দিতে দেখা দেয়।
রাস্তায় অনেক মানুষের ভিড় দেখে এক নারী পথচারী ভিড় সম্পর্কে জানতে চান। তাকে বলা হয়, সংখ্যালঘুদের অধিকার বিষয়টি তুলে ধরতে এ পদযাত্রা। এরপর ওই নারীও জানান, তিনিও একজন সংখ্যালঘু।
সংখ্যালঘুদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক লোমহর্ষক বৈষম্যের বর্ণনা দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার নাম সুমাইরা মুরাদ। আমি একজন খ্রিস্টান। অস্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। এরপর বারংবার চেষ্টা করেও একটি চাকরি পাইনি। এমনকি আমি সুইপারের চাকরিও চেয়েছিলাম। তাও পাইনি।’
দিলীপ কুমার জানান, ‘তিনি একজন বিকলাঙ্গ। স্ত্রী মারা যাওয়ার পর বাচ্চাদের পড়াশোনা ও খাওয়ানোর জন্য আমার একটি চাকরির প্রয়োজন ছিল। তবে কেউ আমাকে চাকরি দেয়নি।’
এমন অনেক উদাহরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে পাকিস্তানজুড়ে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধেই এবার মাঠে নেমেছেন সংখ্যালঘুরা।
করাচির মেয়র ব্যারিস্টার মুর্তজা ওয়াহাব বলেন, ‘পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় মুসলিমদের সঙ্গে সংখ্যালঘুরাও অবদান রেখেছেন এবং পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার সবুজ অংশ সংখ্যালঘুদের প্রতিনিধিত্ব করে।’
যদিও পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর সীমাহীন নির্যাতন করা হয়। দেশভাগের পর জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ, খুন, ধর্ষণ, জমি দখল-সহ বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের ফলে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে।