বিরাট বড় পদক্ষেপ, কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিতদের গণহত্যার তদন্ত করা হবে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ফের কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিতদের গণহত্যার ফাইল খোলা হলো। তদন্ত করে দেখা হবে তিন দশক আগে খুন হওয়া অবসরপ্রাপ্ত বিচারক নীলকান্ত গাঞ্জুর হত্যা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিশিষ্ট কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যা (Kashmiri Pandit) মামলা।
রাষ্ট্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) বিচারপতি নীলকান্ত গাঞ্জু হত্যার তথ্য শেয়ার করার জন্য জনগণকে অনুরোধ করে পাবলিক নোটিশ জারি করেছে। প্রায় ৩৩ বছর পর, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন আশি এবং নব্বইয়ের দশকে খুন হওয়া কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার তদন্ত পুনরায় শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ) কাশ্মীরি পণ্ডিতদের হত্যার মামলাগুলি আবার খুলছে।
এসআইএ নীলকান্ত গাঞ্জু হত্যা মামলার পুনঃতদন্তে জনসাধারণের সহায়তা চেয়েছে। বলা হয়েছে, কেউ এ বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থাকে তথ্য দিলে তার পরিচয় গোপন রাখা হবে, পাশাপাশি তথ্যদাতাকে উপযুক্ত পুরস্কৃত করা হবে।
জনসাধারণকে এই হত্যা মামলার সাথে সম্পর্কিত যেকোন তথ্যের জন্য 8899004976 নম্বরে যোগাযোগ করতে বা sspsia-kmr@jkpolice.gov.in ইমেল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি গাঞ্জুকে ১৯৮৯ সালের ৪ নভেম্বর প্রকাশ্য দিবালোকে একদল সন্ত্রাসী হত্যা করে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টকে (জেকেএলএফ) এই হত্যার জন্য দায়ী করেছিল। কিন্তু সেই সময়ে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। কাশ্মীরি পণ্ডিতরা জীবনের বাঁচাতে কাশ্মীর ছাড়তে বাধ্য হয়। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এটি সর্বকালের সর্ববৃহৎ দেশত্যাগ।
বিচারপতি গাঞ্জুকে টার্গেট করা হয়েছিল কারণ ১৯৬০ সালে তিনি পুলিশ অফিসার অমর চাঁদ হত্যার মামলায় জেকেএলএফ প্রধান মহম্মদ মকবুল ভাটকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন।