Friday, July 18, 2025
টালিউড

প্রতি বছর মতো এবছরও কচিকাঁচাদের সঙ্গে বড়দিন পালন করলেন ঋতাভরী

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কখনও এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের সঙ্গী আবার কখনও বিশেষভাবে অক্ষম শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। কখনও পথশিশু কখনও আবার অনাথ বাচ্চাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। আবার কখনও নারী সচেতনতায় কাজ করেছেন তিনি। বলছি টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর কথা। প্রতিবছর তিনি বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন কচিকাঁচাদের সঙ্গে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হল না। মূক-বধির শিশুদের সঙ্গে বড়দিন উদযাপন করলেন ঋতাভরী।

এক যুগ ধরে তিনি ‘সান্তাক্লজ’ সেজে আসছেন। কেক, হরেক-রকম খেলনা, বড়দিনের টুপি, মোজা, ঘণ্টা, বেলুন নিয়ে পৌছে যান আইডল স্কুল ফর দ্য ডেফের কচিকাঁচাদের কাছে। প্রত্যেকের হাতে তুলে দেন বড়দিনের উপহার। তাঁকে দেখেই খুশিতে আত্মহারা হয়ে ওঠে মূক-বধির শিশুর দল।

৭৬ জন ছেলেমেয়ের কাছে পৌঁছে যান তাঁদের ‘দিদি’। এদিন অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ‘বন্ধু’ রাহুল দাশগুপ্ত এবং ঋতাভরীর সহকারী মধুজা ভৌমিকও।

তবে শুধুমাত্র যে বড়দিনের আগের দিন এমন কিন্তু না। নিজের জন্মদিনের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন কচিকাঁচাদের সঙ্গে। এই সমস্ত শিশুদের মায়ের ভূমিকায় দেখা যায় অভিনেত্রী‌কে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি এই স্কুলের সাথে যুক্ত হন। তারপর সময় যত এগোতে থাকে অভিনেত্রীর সঙ্গে বাচ্চাদের সম্পর্ক তত গভীর হতে থাকে। এই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও ৮০টির‌ও বেশি পাবলিক লেডিজ টয়লেটে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছেন ঋতাভরী। সবমিলিয়ে সহৃদয়তা এবং মানবিকতায় ভক্তকুলের মন জয় করে নিয়েছেন তিনি।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।