‘বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে চিন্তিত ভারত’, সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা মোদী-ইউনূসের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বিমস্টেক (BIMSTEC) সম্মেলনের অবসরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সাক্ষাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সম্পর্কের পাশাপাশি বিশেষভাবে আলোচিত হয় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়টি।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বাংলাদেশে হিন্দুদের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বাংলাদেশের বর্তমান প্রশাসনের কাছে আশা প্রকাশ করেন, সংখ্যালঘুদের জীবন, সম্পত্তি ও অধিকার যেন সুরক্ষিত থাকে এবং কোনওভাবেই ধর্মীয় বা সামাজিক নিপীড়নের শিকার না হন তারা।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা জনাব মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। ভারত বাংলাদেশের সাথে একটি গঠনমূলক ও জনকেন্দ্রিক সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আমি বাংলাদেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, অন্তর্ভুক্তি ও গণতন্ত্রের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছি।… pic.twitter.com/RVbR5WQ9nu
— Narendra Modi (@narendramodi) April 4, 2025
মোদী জানান, ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে রয়েছে যাতে সে দেশ গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখতে পারে। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আরও গঠনমূলক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ হয়, সেই বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এই প্রেক্ষাপটে দুই দেশ যেন একে অপরের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য বা কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকে, সেই প্রত্যাশাও জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকে সীমান্ত নিরাপত্তা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ নিয়েও আলোচনা হয়। মোদী জোর দিয়ে বলেন, সীমান্তে কঠোর নজরদারি বজায় রাখা প্রয়োজন যাতে দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও স্থিতি বিঘ্নিত না হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মহম্মদ ইউনুস অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর, বিদ্রোহী ছাত্র নেতাদের সম্মিলিত মতামতে ইউনুসকে এই দায়িত্বে আনা হয়।
এই বৈঠক আঞ্চলিক রাজনীতির প্রেক্ষিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল। বিশেষ করে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের সরব হওয়া ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।