‘২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে বড় সেনা অভিযান চালাতে পারে ভারত’, আশঙ্কা পাকিস্তানের সম্প্রচারমন্ত্রীর
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার জেরে ফের উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। হামলায় পর্যটক-সহ ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারতের তরফে এই আক্রমণের পেছনে পাকিস্তানের মদত রয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই মাঝে পরিস্থিতি আরও ঘোলা করে পাকিস্তানের সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লা তাহারের বিস্ফোরক বিবৃতি। মঙ্গলবার গভীর রাতে সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানান, আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড়সড় সামরিক অভিযান চালাতে পারে ভারত।
পাক মন্ত্রীর কথায়, “বিশ্বস্ত সূত্র থেকে আমরা জানতে পেরেছি, পহেলগাঁওয়ের ঘটনার দায় পাকিস্তানের উপর চাপিয়ে ভারত একতরফা পদক্ষেপ নিতে চলেছে। হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তবে আমরা তৈরি।” যদিও একইসঙ্গে পাকিস্তান নিজেকে সন্ত্রাসবাদের শিকার দাবি করে জানিয়েছে, কোনওভাবেই তারা এই হামলার পেছনে নেই। আতাউল্লা তাহার আরও বলেন, “বিশ্বের যেকোনও প্রান্তে সন্ত্রাস হলে পাকিস্তান তার নিন্দা জানায়। ভারতের কাছে আমাদের আবেদন, এই ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত হোক আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দ্বারা।”
তবে ভারতের তরফে বিষয়টি নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। সরকারি সূত্রে খবর, কেন্দ্র সরকার ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে, যেন উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়। সূত্রের দাবি, হামলায় জড়িত চার জঙ্গির মধ্যে দু’জন পাকিস্তানের নাগরিক। যদিও অভিযুক্ত জঙ্গি সংগঠন ‘দ্য রেসিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) প্রথমে দায় স্বীকার করলেও পরে তা অস্বীকার করে। ভারতীয় গোয়েন্দা রিপোর্টে স্পষ্টভাবে পাকিস্তানের মদতের উল্লেখ রয়েছে।
পাকিস্তানের সম্প্রচারমন্ত্রীর সুরে মিশ্র বার্তা পাওয়া গেছে। একদিকে যেমন তিনি শান্তিপূর্ণ তদন্তের প্রস্তাব দিয়েছেন, তেমনই আবার বলেছেন, “যদি ভারত হামলা চালায়, পাকিস্তানও তার জবাব দিতে পিছপা হবে না।” একইসঙ্গে তিনি গোটা বিশ্বকে সতর্ক করে বলেছেন, “ভারত যদি যুদ্ধের পথে এগোয়, তার পরিণতি ভয়াবহ হবে এবং তার সম্পূর্ণ দায়ভার ভারতের উপরই বর্তাবে।”
এই হামলা এবং পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তাপকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ এশিয়ায় আবারও যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।