হামলার সময় বালাকোটের জইশ ক্যাম্পে ৩০০টি মোবাইল সক্রিয় ছিল
নয়াদিল্লি: গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ার স্ট্রাইকে জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি শিবির গুড়িয়ে দেওয়া হয়। ১০০০ কেজি ওজনের বোমা নিক্ষেপ করা হয়। ভারতীয় বায়ুসেনার এই হামলায় ৩৫০ জঙ্গি খতম হয় বলে খবর। এর মধ্যে ২৫ জন আবার জঙ্গিদের প্রশিক্ষক ছিল। তবে এই জঙ্গি ঘাঁটিতে কতজন জঙ্গি ছিল বা কতজনই বা মারা গিয়েছে তা জল্পনা চলছিল।
সরকারি ভাবে কিংবা বায়ুসেনার তরফে মৃতের কোনও সংখ্যা উল্লেখ করা না হলেও বারবার বলা হয়েছে যে, টার্গেটে আঘাত করতে সফল হয়েছে ভারত। সোমবারই এই প্রসঙ্গে বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়া বলেন, টার্গেটে আঘাত করা হলেও মৃতের সংখ্যা কত, তা সরকারই বলবে। এরপরই প্রকাশ্যে এসেছে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা NTRO-র রিপোর্ট।
Sources: NTRO surveillance of JeM Balakot camp in days leading up to air strike by IAF confirmed around 300 active mobile connections in facility pic.twitter.com/uwyzd0qpHB
— ANI (@ANI) March 4, 2019
সেখানে বলা হয়েছে, বালাকোটে হামলার আগের মুহূর্তে ৩০০টি মোবাইল সংযোগ অ্যাক্টিভ ছিল। অভিযানের আগে এই তথ্য পান গোয়েন্দারা। আর এই তথ্য সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পরই চালানো হয় অভিযান। এতগুলি মোবাইল ফোন অ্যাক্টিভ থাকার ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে এই ক্যাম্পে কতজন জঙ্গি থাকতে পারে।
মোবাইল ফোন সংক্রান্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, প্রায় ৩০০ জঙ্গি অভিযানে খতম হয়েছে। তাছাড়া এহেন হামলার জেরে যদি কেউ থাকেও ওই জঙ্গি ঘাঁটির ভিতরে তাহলে তাদের মৃত্যু অবশ্যাম্ভাবী বলেই দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা।