বিজেপি নেত্রীকে মারধরের পর ৯ দিন পার, এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ
বারাসাত: ইসলামপুরে দুই ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে অশান্ত হয়েছিল গোটা রাজ্য। ঘটনার প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির ডাকা বাংলা বনধের দিন বারাসতের কদম্বগাছিতে বিজেপির মহিলা নেত্রী নীলিমা দে সরকারকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আরশাদুজ্জামান। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ঘটনার পর ৯ দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়নি অভিযুক্তকে। এনিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শংকর দাস।
তিনি বলেন, শুধু নীলিমা দে সরকারই নয়, বনধের দিন বামনগাছিতে দলের মহিলা কর্মী সীমা সাহাকেও হেনস্তা করা হয়। সেই ঘটনাতেও অভিযোগ ছিল শাসকদলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সীমাদেবী ২৬ সেপ্টেম্বরই বারাসত থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু, এরপর ৯ দিন কেটে গিয়েছে। অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেপ্তার করা তো দূরের কথা, তাদের কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্যন্ত করেনি পুলিশ। আমাদের কেউ আক্রান্ত হলে পুলিশ যে কোনও ব্যবস্থা নেবে না, এটাই স্বাভাবিক বলে অভিযোগ করেন শংকর দাস।
TMC goons attacked the supporters of peaceful #BanglaBondh at Pirgacha, Barasat (North 24 Parganas) pic.twitter.com/3xoQ1PODTf
— Dilip Ghosh (@DilipGhoshBJP) 26 September 2018
নীলিমা দেবীর স্বামী প্রসাদ চন্দ্র দে সরকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, আমার স্ত্রী কে যখন লাঠি দিয়ে মারা হচ্ছিল, পুলিশ সেখানে উপস্থিত ছিল। ওঁর হাতে, পায়ে, মাথায় গুরুতর আঘাত হয়েছে। একটা কেউ বাঁচাতে আসেনি।
প্রসঙ্গত, নীলিমা দে সরকার বারাসতের বাসিন্দা এই মহিলা বিজেপির কর্মী। চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন নীলিমা দেবী। বনধের দিন তাঁকে লাথি মেরে ফেলে রেলগেটে ফেলে দেন আরশাদুজ্জামান নামে স্থানীয় তৃণমূল নেতা।