NCERT-র নয়া পাঠ্যবই থেকে বাদ মুঘল-সুলতানি সাম্রাজ্য
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক— ফের একবার পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনল জাতীয় শিক্ষা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ পরিষদ (NCERT)। সপ্তম শ্রেণির সমাজবিজ্ঞানের নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দিল্লির সুলতানি ও মুঘল সাম্রাজ্য নিয়ে থাকা দুটি পৃথক অধ্যায়। পরিবর্তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মগধ, মৌর্য, শুঙ্গ এবং সাতবাহন সাম্রাজ্যের মতো প্রাচীন ভারতীয় রাজবংশের ইতিহাস। পাশাপাশি স্থান পেয়েছে সাম্প্রতিক সরকারি প্রকল্প ও ভারতীয় সাংস্কৃতিক ঘটনাও—যেমন ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ এবং ২০২৫ সালে প্রয়াগরাজে অনুষ্ঠিতব্য কুম্ভমেলার উল্লেখ।
এই নতুন পাঠ্যবইগুলি ২০২৩ সালের জাতীয় পাঠ্যক্রম কাঠামো (NCFSE) এবং জাতীয় শিক্ষা নীতি (NEP)-র সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে। পাঠ্যক্রমে এমন পরিবর্তনের পেছনে যুক্তি হিসেবে এনসিইআরটি জানিয়েছে, শিক্ষায় ভারতীয় ঐতিহ্য, দর্শন এবং স্থানীয় প্রেক্ষাপটকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়াস হিসেবেই এই রদবদল।
কি বাদ গেল, কি এল?
পুরনো বইয়ে মুঘল এবং দিল্লির সুলতানি সাম্রাজ্য নিয়ে দুটি আলাদা অধ্যায় ছিল। এগুলির মাধ্যমে মধ্যযুগীয় ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাস, প্রশাসনিক গঠন এবং সাংস্কৃতিক অবদান পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। তবে নতুন পাঠ্যক্রমে সেই জায়গায় এসেছে প্রাচীন ভারতের বৃহৎ সাম্রাজ্যগুলির ইতিহাস—যেমন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও অশোকের শাসনকাল, শুঙ্গ রাজবংশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং দক্ষিণ ভারতের সাতবাহন সাম্রাজ্যের ইতিহাস।
বর্তমানের সঙ্গে সংযোগ
শুধু অতীত নয়, বর্তমান ভারতীয় সমাজ ও প্রশাসনিক উদ্যোগগুলিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিচিত করানোর লক্ষ্যেও নতুন অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে। যেমন, ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ ও ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সমকালীন ভারতের উন্নয়নমূলক নীতিগুলি সম্পর্কে ধারণা পাবে। সেই সঙ্গে কুম্ভমেলার প্রসঙ্গ এনে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরম্পরার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে।