নদীর বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন রাজ্য সরকারের
কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তান্ডবে সবচাইতে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলীয় অঞ্চল। একে ঘূর্ণিঝড় তার উপর ভরা কোটাল। উপকূলীয় অঞ্চলে নদীর বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা। মাটির বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকছে গ্রামে। এলাকার ভেড়িগুলিতে জল ঢুকে মৎস্য চাষীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। প্লাবিত হয়েছে কৃষি জমিও। রাতে ফের জল ঢুকতে পারে সেই আশঙ্কায় দুর্যোগের মধ্যেই কাজ শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।
তবে নদীর বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে এবার বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠন করল রাজ্য সরকার। মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর নির্দেশ, গাছ লাগিয়ে বাঁধকে শক্তিশালী করায় জোর দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে রাজ্যের ১৩৪টি নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ১৫ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩ লাখেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ১৫টি এলাকায় নদীর জল ঢুকেছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫১টি বাঁধ ভেঙেছে। গোসাবার গ্রামে বিদ্যাধরী নদীর জল ঢুকে গিয়েছে। শংকরপুর, তাজপুর স্টেশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কুলতলিতেও নদীর বাঁধ ভেঙেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সন্দেশখালির খুলনা ফেরিঘাটে বাঁধের অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে প্রবল গতিতে নদীর জল ঢুকে পড়ছে এলাকায়।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত দীর্ঘ ৫ বছর ধরে।