Friday, April 19, 2024
আন্তর্জাতিক

জাপানের নারীদের কাছে রোল মডেল ইভাঙ্কা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প রয়েছেন আলোচনায়। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ধারণা করা হচ্ছিল প্রশাসনে বড় প্রভাব থাকবে ইভাঙ্কার। বাস্তবে হয়েছেও তাই। ইভাঙ্কা এখন তার বাবা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প প্রথম এশিয়া সফরে রয়েছেন। উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে প্রায় ১১ দিনের এ সফরে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ সফর করছেন তিনি। বাবার সফর শুরুর আগেই টোকিও আসেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। অংশ নেন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি অনুষ্ঠানে। কথা বলেন ফ্যাশন ও নারীর নিরাপত্তাসহ নানা ইস্যুতে।

অনেকে মনে করেন বাবা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একজন উপদেষ্টা হিসেবে সফরের প্রাক-প্রস্তুতির বিষয়গুলো দেখভাল করতেই আগেভাগে টোকিও আসেন ইভাঙ্কা। ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাসেম্বলি ফর উইমেন’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়া ছাড়াও কয়েকটি কর্মসূচিতেও অংশ নেন ট্রাম্পকন্যা। যেখানে তাকে সামনা-সামনি দেখার সুযোগ পেয়েছেন জাপানের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নারীরা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কন্যাকে কেমন দেখেছেন জাপানের নারীরা—তা জানতে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি। তাদেরই একজন পেশায় একটি রেস্তোরাঁর শেফ ও ব্যবস্থাপক ইয়ুকি চিদুই।

ইয়ুকি বলেন, ‘ইভাঙ্কা ফ্যাশনের সঙ্গে রাজনীতির একটি ভারসাম্য করতে পারেন। যদিও আমি সম্পূর্ণ ভিন্ন অবস্থানে, তারপরেও তার জায়গায় আমি নিজেকে দেখতে পাই। যেমন ধরুন, এখানে কাজের সময় আমি সাদা অ্যাপ্রোন পরি না, বরং মেকআপ নিই। আমি সবসময় আমার সুশী বারকে ফ্যাশনেবল ও কাজের ক্ষেত্রকে আনন্দময় রাখতে চাই। এক্ষেত্রে ফ্যাশন ও কাজের মধ্যে সমন্বয়ে ইভাঙ্কা আমার জন্য রোল মডেল হতে পারে।’

লেখক ও অভিনেত্রী মারি ইয়ামামাতোর কাছে অবশ্য ইভাঙ্কা ট্রাম্প খানিকটা দ্বিধাগ্রস্ত বৈশিষ্ট্যের। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে ও তার বাবাকে ভালোভাবেই লক্ষ্য করেছি। একজন নারীকে রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বা উঁচু পদে দেখা সবসময়ই চমৎকার এবং তিনি কিভাবে সেখানে পৌঁছালেন সেটা একেবারেই গৌণ বিষয়। তিনি নির্বাচিত নন, এটাও কোন বিষয় না।’

চিত্রশিল্পী মিহি ব্যারন এখন মা হওয়ার প্রহর গুনছেন। তাই বলে বন্ধ নেই তার ছবি আঁকার কাজ। নিজের স্টুডিওতে কাজ করতে করতে তিনি বিবিসিকে বলেন, ইভাঙ্কা সম্পর্কে আগে তেমন একটা ধারণা তার ছিল না।

মিহি ব্যারন বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি ইভাঙ্কার সম্পর্কে জেনেছি তার জাপানে আসার খবর শোনার পর। আমি শুনেছি পরিবারের নাম-যশ ভালোভাবেই ব্যবহার করছেন তিনি। এরপরও আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কারণ তিনি নিজের একটা ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি করেছেন এবং দিন দিন সেটি বাড়ছে।’

জাপানে বিভিন্ন পেশায় থাকা এসব নারীরা মনে করেন আসছে দিনগুলোতে বিশ্বজুড়েই নতুন প্রজন্ম সবকিছুতেই নতুন নতুন ধারণা নিয়ে হাজির হবে। সম্ভবত ইভাঙ্কা ট্রাম্প সে ধারারই প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করেছেন এখনই! বিবিসি বাংলা