Tuesday, May 13, 2025
Latestআন্তর্জাতিক

‘ঢাকার হোলি আর্টিজানে ২৪ জনকে জবাই করেছিল জঙ্গিরা, বেছে বেছে অমুসলিমদের জবাই করেছিল, তবে কালেমা বলতে না পারার অপরাধে ৭ জন মুসলমানকেও হত্যা করেছিল’

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের গুলি করে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। বেছে বেছে হিন্দুদের উপর হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। প্যান্ট খুলতে বলা হয়, ধর্মীয় পরিচয় জানা হয়, কলমা পড়তে বলা হয় বলেও অভিযোগ। পহেলগাঁওকাণ্ডে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে। দেশজুড়ে বদলার দাবি উঠেছে। এবার এ বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিলেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, “হোলি আর্টিজান ক্যাফেয় মুসলিম সন্ত্রাসীরা ২৪ জন মানুষকে জবাই করেছিল। বেছে বেছে অমুসলিমদের জবাই করেছিল। তারপরও ৭ জন মুসলমান মরেছে, কালেমা বলতে না পারার অপরাধে। গুলি করে মারার পরও ওরা জবাই করেছিল। কারণ জবাই করলে নাকি বেশি সওয়াব হয়, আল্লাহতায়ালা গুলি করার চেয়ে বেশি খুশি হন জবাই করলে। আমরা পাথর হয়ে গিয়েছিলাম শোকে, আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম সন্ত্রাসীদের বর্বরতা দেখে। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হয়েছি। আবার কাজকর্ম, হাসি ঠাট্টায় মন দিয়েছি। 

পহেলগাঁওয়ে দেখে দেখে ২৬ জন মানুষকে গুলি করে মারলো মুসলিম সন্ত্রাসীরা। বেছে বেছে অমুসলিমদের মেরেছে, কারণ অমুসলিমদের হত্যা করলে বেশি সওয়াব হয়, আল্লাহতায়ালা খুশি হন অমুসলিম হত্যা করলে। আমরা পাথর হয়ে গিয়েছি শোকে, আমরা স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছি সন্ত্রাসীদের বর্বরতা দেখে। কিন্তু ধীরে ধীরে আবার স্বাভাবিক হবো। আবার কাজকর্ম, হাসি ঠাট্টায় মন দেবো। 

এভাবে আমরা অভ্যস্ত হচ্ছি সন্ত্রাসে। বিনা অপরাধে খুন হতে অভ্যস্ত হচ্ছি। আমাদের জীবনের মূল্য ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।”

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১লা জুলাই শুক্রবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে গুলশান ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করে।