বাংলাদেশে হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি দখলের অভিযোগ
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: বাংলাদেশে ফের সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর ভয়াবহ অত্যাচারের অভিযোগ। অভিযুক্ত খোদ অবসরপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টর জেনারেল বেনজির আহমেদ। অভিযোগ পদে থাকাকালীন ভয় দেখিয়ে বাংলাদেশের একাধিক অঞ্চলের হিন্দুদের জমি দখল করেছেন তিনি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন।
জানা গেছে, বেনজির আহমেদ হাসিনা ঘনিষ্ঠ। যার ফলে অস্বস্তিতে বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামী লিগ।
বেনজির আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হিন্দু অধ্যুষিত গোপালগঞ্জ ও মাদারিপুর জেলায় কার্যত গায়ের জোরে হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি দখল করেছেন। এই ২ জেলায় হিন্দুদের থেকে মোট ৬০০ বিঘা জমি দখল করেছেন তিনি।
গোপালগঞ্জের সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বাসিন্দা জুয়েল বল বলেন, ‘আমাদের জমি লিখে দিতে বাধ্য করে। জমি না লিখে দিলে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বেনজিরের লোকজন। বাধ্য হয়ে আমরা জমি লিখে দিয়েছি। চাষবাসই ছিল আমাদের ভরসা। জমি হারিয়ে কোনওক্রমে বেঁচে আছি।’
তবে শুধু গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর নয়, গাজীপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বান্দরবান, কালীগঞ্জেও বেনজিরের বিরুদ্ধে হিন্দুদের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত তদন্তে বেনজিরের ৬২১ বিঘা জমি, ঢাকার গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট, ৩৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ৩টি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট এবং ৩০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
গোটা বিষয়টি সামনে আসে গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল বাংলাদেশের একটি সংবাদপত্র বেনজিরের কীর্তি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায়। এরপর ঘটনাটি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে বাংলাদেশের তদন্তকারী সংস্থা। এর মধ্যে ২৭টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করে ফেলেন বেনজির। বিক্রি করে ফেলেন বিপুল সম্পত্তি। গত ৪ মে বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর পালিয়েছেন তিনি।