Saturday, July 27, 2024
কলকাতা

‘আমাদের নাম লেখা থাকবে তারায় তারায়’, শোভনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা বৈশাখীর

কলকাতা: ৫৭ তে পা রাখলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। জন্মদিনে তাকে শুভেচ্ছা জানালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে বৈশাখী বিশেষ শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন। তাদের বন্ধুত্ব কতটা মজবুত তা ওই শুভেচ্ছা বার্তা ফুটে উঠেছে।

বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি দিয়ে ফেসবুকে লিখেছেন, “ইউ অ্যান্ড আই ওয়্যার রিটেন ইন দ্য স্টার্স”। অর্থাৎ, ‘তারায় তারায় লেখা থাকবে তোমার আমার নাম, শুভ জন্মদিন শোভন।’ কবি শামসুর রহমানের ‘উত্তর’ কবিতায় লিখেছেন, ‘তারায় তারায় রটিয়ে দেব, আমি তোমার, তুমি আমার।’

বাংলাদেশের গায়ক জেমস শামসুর রহমানে কবিতায় সুর দিয়ে গেয়েছেন, ‘একবার যদি বলো/এই চাঁদ খুজবে না উত্তর/একবার যদি বলো আমাকে/আমি থাকবো না নির্বাক…’। সতীনাথ মুখোপাধ্যায় গেয়েছেন, ‘মনেরও আকাশে কত খুঁজেছি গো তোমায়, মেঘেরও স্তরে স্তরে, রাতেরও তারায় তারায়।’ তারা নিয়ে রবীন্দ্রনাথও গেয়েছেন গান। শোভনের জন্মদিনে সেই ‘তারায় তারায়’ কথার উল্লেখ করলেন বৈশাখী।

শোভনের জন্মদিনে কালী পুজোও দিয়েছেন বৈশাখী। এ প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, প্রিয়জনের জন্মদিনে মা কালীর পুজো দিই আমি। ওর নামে ভোগের ব্যবস্থা হয়েছে। পুজো দিয়েছি। ও সুস্থ থাকুক এটাই প্রার্থনা। জন্মদিনের মেনু কি? এ প্রসঙ্গে বৈশাখী বলেন, ওর সব পছন্দের খাবারই করা হয়েছে। তবে উনি সাধারণ খাবার খান। পাতলা চিকেনের ঝোল, বাসন্তী পোলাও রয়েছে। এছাড়া কেক তো রয়েছেই। মধ্যরাতে কেক কেটেছিলাম।

উল্লেখ্য, শোভন-বৈশাখীর বিশেষ বন্ধুত্বের সম্পর্ক নিয়ে জনমানসের মনে কৌতূহলের অন্ত নেই। জামাই ষষ্ঠীর দিনই বৈশাখীর নামের মাঝখানে শোভনের নাম ফেসবুক প্রোফাইলে যুক্ত হওয়ার পর কৌতূহলের পারদ আরও বেড়েছে। শোভনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে মধ্যরাতে কেক কেটে সেলিব্রেশন করেন বৈশাখী। পাশাপাশি, শোভনের জন্য গানের আসরেরও আয়োজন করেন বৈশাখী। এখানেই শেষ নয়, শোভনকে জন্মদিনের বিশেষ উপহার দেন তিনি। তবে কি উপহার, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি বৈশাখী।

১৯৬৪ সালের ৭ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন শোভন। ২০১০ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত কলকাতা পুরসভার মেয়র। এরপর রাজ্যের মন্ত্রী হন। তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগণার সংগঠক, নেতাও ছিলেন শোভন। ২০১৯ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। তাঁকে কলকাতা জেলার দায়িত্ব দেয় বিজেপি। বিধানসভায় টিকিটও দেওয়া হয়। তবে বন্ধুকে ‘অসম্মান’ করায় সবকিছুই অবলীলায় ত্যাগ করেন শোভন বন্দ্যোপাধ্যায়।