অসমে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ২০০ শতাংশ, বলছে পরিসংখ্যান
নয়াদিল্লি: অসমে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তালিকা থেকে প্রায় ৪০ লাখ অনুপ্রবেশকারীকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এবার জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেনসের (এনআরসি) প্রকাশিত চূড়ান্ত খসড়া তালিকাকে সমর্থন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিং। এ প্রসঙ্গে অরুণ জেটলির যুক্তি, অসমে হিন্দু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে ছাপিয়ে গিয়েছে মুসলিমদের বৃদ্ধির হার।
জনগণনার পরিসংখ্যান উল্লেখ করে জেটলি টুইটারে লিখেছেন, ১৯৬১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অসমে হিন্দুদের জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৪ গুণ। সেখানে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ৩.৯ গুণ। শতাংশের হিসাবে, বিগত ৫০ বছরে অসমে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে ৮০.৯ শতাংশ। সেখানে মুসলিম জনংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ২০০ শতাংশ। এর ফলে অসমের জনবিন্যাস বিপুলভাবে প্রভাবিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
The result of this has been that in the 50 years between 1961 and 2011, the majority community in Assam has grown 2.4 times; the minority has grown 3.9 times. This has caused a major demographic impact.
— Arun Jaitley (@arunjaitley) 1 August 2018
সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্লেখ করে জেটলি আরও লিখেছেন, প্রতিবেশী দেশ থেকে অসমে অনুপ্রবেশের ফলে অসমের বেশ কয়েকটি জেলায় মুসলিমরা সংখ্যাগুরু হয়ে উঠেছে বলে মেনে নিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই জেলাগুলিকে পরে বাংলাদেশে সামিল করার দাবি উঠতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়, অসমের পাশাপাশি জনবিস্ফোরণের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের নামও উল্লেখ করে জেটলি লিখেছেন, অনুপ্রবেশের ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গও পিছিয়ে নেই। এরাজ্যেও অনুপ্রবেশের ফলে জনবিন্যাসের পরিবর্তন হয়েছে।