Sunday, September 15, 2024
আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশি আল–কায়েদার শীর্ষ নেতা ইকরামুল হক গ্রেফতার, উদ্ধার ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: আল–কায়েদার ভারতীয় উপমহাদেশ (একিউআইএস) শাখার দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ইকরামুল হক ওরফে মিলনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। বাংলাদেশ পুলিশ জানিয়েছে, ইকরামুল ভারতে জঙ্গি তৎপরতায় যুক্ত ছিলেন। তার কাছ থেকে ভারতীয় পাসপোর্ট এবং তার স্ত্রীর আধার কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতা ওসমান গণি ওরফে আবু ইমরানের ঘনিষ্ঠ, এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইকরামুলকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সিটিটিসি জানতে পারে, তিনি ভারতে আল–কায়েদার দাওয়া শাখার প্রধান। ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি হিসেবে তাকে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও খুঁজছিল। তার দুটি সাংগঠনিক ছদ্মনাম রয়েছে আবু তালহা ও মাওলানা সাবেত।

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সংবাদের ভিত্তিতে ৩০ মে ঢাকায় অভিযান চালিয়ে ইকরামুল ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের সঙ্গে শিশুসন্তান ছিল। সন্তান এখন কারাগারে মায়ের সঙ্গে আছে।

আদালতে দেওয়া জবানবন্দি, মামলার এজাহার ও তদন্তকারী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইকরামুলের গ্রামের বাড়ি বাংলাদেশের ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বোরোরচর গ্রামে। তিনি ঢাকার ফরিদাবাদ মাদ্রাসা থেকে ২০১৭ সালে দাওরায়ে হাদিস পাস করেন। মাদ্রাসায় পড়াশোনার সময় আনসার আল ইসলামের বর্তমান আমির ওসমান গণির মাধ্যমে জঙ্গিবাদে জড়ান। ইকরামুল ২০১৮ সালে ভারতে দেওবন্দ মাদ্রাসায় ভর্তি হন। সেখানে তিনি আল–কায়েদা নেটওয়ার্কের (একিউআইএস) সঙ্গে যুক্ত হন এবং একপর্যায়ে সংগঠনের দাওয়া বিভাগের শীর্ষ পর্যায়ের দায়িত্ব পালন করেন।

সিটিটিসি সূত্র বলছে, ইকরামুল একপর্যায়ে ভারতীয় পাসপোর্টও জোগাড় করেন। তাতে নাম রয়েছে নূর হোসেন, পিতা সাবু মিয়া ও মা নাবিয়া বিবি। ভারতীয় পাসপোর্টে তাঁর ঠিকানা পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের দিনহাটা এলাকা। তার স্ত্রী ফারিয়া আফরিনও ভারতীয় আধার কার্ড করেন। নাম দেন মরিয়ম খাতুন। ইকরামুল একিউআইএসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা বা উপপ্রধান। তিনি সংগঠনটির দাওয়াতি শাখার প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতে অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে। মাস সাতেক আগে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তাড়া খেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে অবৈধ পথে ইকরামুল বাংলাদেশে ফেরত যান।

কলকাতা পুলিশের এসটিএফের দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক জানান, তাঁরা বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন। আল-কায়েদা জঙ্গি ইকরামুলকে কলকাতায় আনা হবে।