‘শ্রদ্ধার দেহ টয়লেটে বসে কেটেছিল আফতাব’, খুনের আগে কিভাবে মাংস কাটতে হয় তার জন্য ২ সপ্তাহের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়াকর খুনের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ঘটনার একবছর পরও চলছে মামলা। মামলার শুনানি চলাকালীন শনিবার আদালতে দাঁড়িয়ে সাক্ষ্য দিলেন মৃত যুবতীর বাবা বিকাশ ওয়াকর। প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট শ্রদ্ধার ২৮তম জন্মদিন ছিল।
শ্রদ্ধার জন্মদিনে বিকাশ ওয়াকর দিল্লির আদালতে দাঁড়িয়ে করেন, ‘তাঁর মেয়ের দেহ টয়লেটে নিয়ে গিয়ে কেটেছিল আফতাব।’ এর আগে গত সোমবার আদালতে বিকাশ দাবি করেছিলেন, ‘আফতাব নাকি নিজে থেকেই তাঁকে জানিয়েছিলেন কিভাবে শ্রদ্ধাকে সে খুন করেছে।’
বিকাশ জানান, ‘কয়েকদিন ধরে মেয়েরে কোনও খবর না পাওয়ায় আফতাবকে ফোন করে মেয়ের খোঁজ নেন তিনি। শ্রদ্ধার লিভ-ইন পার্টনার আফতাব নাকি তখনই তাকে জানিয়েছিল, শ্রদ্ধা আর বেঁচে নেই। এরপরেই নাকি আফতাব ফোনে তাকে জানায়, কিভাবে শ্রদ্ধাকে সে খুন করেছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৮ মে শ্রদ্ধাকে খুন করেছিল আফতাব। খুন করার আগে কিভাবে মাংস কাটতে হবে, তা নিয়ে দু’সপ্তাহের প্রশিক্ষণও নিয়েছিল পেশায় শেফ আফতাব। সেই প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েই শ্রদ্ধার দেহ টুকরো-টুকরো করেছিল আফতাব।
জানা যায়, ২০১৯ সালে এক ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকার এবং আফতাব আমিন পুনাওয়ালার। আফতাব ভিনধর্মের হওয়ায় শ্রদ্ধার পরিবারের আপত্তি ছিল পরিবারের। পরিবারের অমতে আফতাবের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকেন শ্রদ্ধা।