Monday, November 17, 2025
দেশ

নতুন কৃষি আইনকে সমর্থন জানালেন ৮৬৬ জন শিক্ষাবিদ

নয়াদিল্লি: মোদী সরকারের নিয়ে আসা তিনটি কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী দিল্লি। আইন বাতিল না করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষকরা। এর মধ্যেই কৃষি আইনের সমর্থনে কথা বললেন শিক্ষাবিদরা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০০–র বেশি শিক্ষাবিদ সমর্থন জানিয়েছেন নয়া কৃষি আইনকে।

শুক্রবার এক লিখিত বিবৃতিতে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়, এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরা কৃষক বিলের সমর্থনে নিজেদের মতামত জানিয়েছেন। তারা চিঠিতে লিখেছেন, প্রস্তাবিত কৃষি আইন পরিবর্তনের বিষয়টি ভীষণভাবে সমর্থণ করি।

নতুন এই তিনটি আইনে ‘সুফল’ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে চিঠিতে শিক্ষাবিদরা বলছেন, আমরা কৃষকদের পাশে আছি আবার সরকারের পাশেও আছি। কৃষকদের এই কঠিন লড়াইকে স্যালুট জানাই। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার কৃষকদের আশ্বস্ত করেছে যে, এই কৃষি আইনগুলি আসার পরও ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (মিনিমাম সাপোর্ট প্রাইস- MSP) বাতিল করা হবে না। বরং, কৃষি বাণিজ্যকে অযাচিত নিয়মের শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা যাবে। কৃষকরা মান্ডির বাইরেও ফসল বিক্রির জন্য বিকল্প জায়গা পাবেন। সেই সঙ্গে কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে নিজেদের ফসল বিক্রির সুযোগ পাবেন। ফসল বিক্রি ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা থাকবে তাঁদের।

চিঠি ওই শিক্ষাবিদরা আরও বলেছেন, সরকার বারবার আশ্বাস দিয়েছে কৃষকদের জীবন -জীবিকা সুরক্ষিত রাখবে। আমরা সেটা বিশ্বাস রাখি। কৃষকদের খাবার ছিনিয়ে নিতে দেবে না সরকার। কৃষকদের সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ কেন্দ্রীয় সরকার।

৮৬৬ জন শিক্ষাবিদের এই তালিকায় রয়েছেন তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর বিনোদ কুমার জৈন, ভিসি, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ বিহারের প্রফেসর এইচ সি এস রাঠোর, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর একে ভাগি এবং প্রফেসর নিরঞ্জন কুমার, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর তেজ প্রতাপ সিং, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিরামন তিওয়ারি-সহ প্রমূখ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদরা।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।