এক পিস ডিমের দাম ৩০ টাকা, চরম বিপর্যয়ের মুখে পাকিস্তান
ইসলামাবাদ: নির্বাচনী ইশতেহারে নয়া পাকিস্তান গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে দু’বছরেই মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পাকিস্তান। দেশটিতে চরম মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দ্রব্যমূল্যের দাম। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বিভিন্ন পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। একটি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এক কেজি আদার দাম এক হাজার টাকা। এক কেজি চিনির দাম ১০৪ টাকা। এক কেজি গমের মূল্য ৬০ টাকা। যা সর্বকালীন রেকর্ড বলে জানা গেছে।
হু হু করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়তে থাকায় বিপাকে পড়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সরকারের প্রতি ক্রমেই ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। অভিযোগ ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কোনওভাবেই বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি ইমরান সরকার।
আটার দাম জায়গা বিশেষ প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৬০ টাকা। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে টমেটোও দামও। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ২৫ শতাংশেরও বেশি দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করে। ফলে দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস করা মানুষগুলো খাবেন কি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর মধ্যে রান্নার গ্যাসের সংকটও প্রকট হয়েছে। এদিকে, এক কেজি মুরগীর মাংসের দাম ৩০০ টাকা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানে আর্থিক মন্দা শুরু হয়েছে। ২০২০ সালে তার তীব্র আকার ধারণ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করছেন ইমরান খানের শাসনামলে দেশ সঠিক পথে চলছে না। জানা গিয়েছে, ইমরান সরকারের আমলে পাকিস্তানের ৩০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গিয়েছে বলেও সমীক্ষায় জানা গিয়েছে।

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।

