Wednesday, May 8, 2024
রাজ্য​

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনশনকারী ৩ SSC চাকুরিপ্রার্থী

নিজস্ব প্রতিনিধি: ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্ণারত নবম-দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকাভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত চাকুরিপ্রার্থীরা ১১৪ দিনের ধর্ণা অবস্হানের পর যে নির্জলা উপবাস শুরু করেছে; আজ তার দ্বিতীয় দিন। গুরুতর অসুস্থ ৩ জন চাকরিপ্রার্থীকে আজ এস এস কে এম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রথম দফায় ডাক পাওয়া সত্ত্বেও স্কুল সার্ভিস কমিশন নাম্বার ভিত্তিক মেধাতালিকা না প্রকাশ; ১:১.৪ অনুপাতে নিয়োগের গেজেটকে লঙ্ঘন করায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ মেধাতালিকায় সামনের দিকে থাকা চাকরি প্রার্থী হয়েও পাননি নিয়োগ অথচ মেধাতালিকার পেছনের দিকে থাকা বহু প্রার্থী এমনকি ফেল করা প্রার্থীদেরও অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের অবৈধভাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের তিন বার বৃহত্তম অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন করতে হয়েছে যথাক্রমে ২০১৯ সালে প্রেসক্লাবের সামনে ২৯ দিনের অনশন;২০২১সালের জানুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল পার্কের ৫ নম্বর গেটের সামনে ১৮৭ দিনের অবস্থান বিক্ষোভ ও অনশন;২০২১ সালের ৮ ই অক্টোবর থেকে ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্ণা। যা আজ ১১৬ দিনে পড়েছে।

২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের মঞ্চে গিয়ে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে মেধাতালিকা ভুক্ত কোনো প্রার্থী বঞ্চিত হবে না। বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের চাকরিতে ২০১৯ সালে দেওয়া মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসেও কার্যকর হয়নি। তার উপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের লাগাতার অবৈধভাবে নিয়োগ চলছে।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অনশন মঞ্চে গিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ ও দিয়েছিলেন। কিন্তু সমাধান হয়নি সমস্যার।অবৈধভাবে ভাবে পঞ্চ প্রতিনিধিদের একাংশ সহ কিছু জনকে চাকরি দিয়ে যে আন্দোলন ভেঙে দিতে বদ্ধ পরিকর ছিল কমিশন তা আজ আর হলো না।আন্দোলনকারী বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের দাবি মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত সকল শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে।

তাদের ন্যায্য দাবীকে সমর্থন জানিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায় তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন।
আন্দোলনকারী রাকিব হোসেন; সুখেন সরকার তথা বঞ্চিত সকল শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ সোনার বাংলা গড়ার কান্ডারী মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়ে অতি দ্রুত তার প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের আবেদন করেছেন।