Tuesday, November 18, 2025
রাজ্য​

বড় চমক, একুশের ভোটে নন্দীগ্রাম থেকে লড়বেন মমতা

কলকাতা: আর মাত্র কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই যা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। সোমবার নন্দীগ্রামে প্রথম নির্বাচনী সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করলেন, নন্দীগ্রাম থেকেই তিনি লড়বেন। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এটাই নন্দীগ্রামে প্রথম সভা মমতার।

তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, আমার কাছে নন্দীগ্রাম  সবথেকে লাকি জায়গা। নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূল জিতবে। নন্দীগ্রাম থেকেই শুরু হল তৃণমূলের বিজয় যাত্রা। কারও নাম এখনই বলছি না। পরে বলব। ভালো মানুষ দেব, যিনি সত্যিকারের আপনাদের পাশে থেকে কাজ করবেন। আমি যদি নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াই কেমন হয়? ভাবছিলাম। কথার কথা। একটু বললাম। একটু ইচ্ছে হলো। একটু আমার মনের জায়গায়। সুব্রত বক্সিকে আমার নাম মনে রাখতে বলব।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলের নতুন জন্ম হল। বেশি সময় দিতে পারব না। কারণ, ২৯৪ আসনেই আমাকে লড়তে হবে। তবে কাজ করে দেব। ভবানীপুরকেও অবহেলা করব না। ওটাও আমার ভালোবাসার জায়গা। ওখানেও ভালো প্রার্থী দেব। ভবানীপুর আমার বড় বোন, নন্দীগ্রাম আমার মেজ বোন। পারলে দুটি কেন্দ্র থেকেই দাঁড়াব। কারণ নন্দীগ্রামে থেকেই আন্দোলন করব। নন্দীগ্রামে আমি দাঁড়াবই।

২০১১ সালের নির্বাচনে মমতার জেতার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নন্দীগ্রামের। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়েছিল তৎকালীন বামফ্রন্টের পুলিশ। ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন। বেশ কিছু মানুষ নিখোঁজ হয়েছিলেন। সেই সময় নন্দীগ্রামকে রাজ্য রাজনীতির মূল ইস্যু হিসেবে তুলে ধরে নির্বাচনে লড়েছিলেন মমতা। তখন তাঁর প্রধান সেনাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যিনি সম্প্রতি অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করে তৃণমূল নেত্রী এদিন বলেন, রাজনীতিতে তিন ধরনের লোক হয়। লোভি, ভোগী, ত্যাগী। ত্যাগীরা মায়ের কোল ছাড়ে না। কিন্তু আরেক দলের অনেক সম্পত্তি, প্রচুর টাকা।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে বিক্রি হতে দেব না। আমি বেঁচে থাকতে বিজেপির হাতে বাংলাকে বিক্রি করতে দেব না।