ওয়াকফ আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট, ৫ মে পরবর্তী শুনানি
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: নয়া ওয়াকফ সংশোধনী আইনে স্থগিতাদেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। তবে ওয়াকফ বাই ইউজার সম্পত্তির চরিত্র বদল এবং ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য নিয়োগ—এই দুটি ক্ষেত্র আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ। পরবর্তী শুনানি ৫ মে নির্ধারিত হয়েছে, তার আগে পর্যন্ত এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ কার্যকর থাকবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে একাধিক প্রশ্ন করে শীর্ষ আদালত। ১৯৪০ সাল থেকে যে ‘ভোগদখলকারী ওয়াকফ’ প্রথা চালু রয়েছে, নতুন সংশোধনী অনুযায়ী সেই সমস্ত সম্পত্তির কী ভবিষ্যৎ হবে—তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। একইসঙ্গে ওয়াকফ বোর্ড বা কাউন্সিলে অমুসলিম সদস্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়েও আপত্তি প্রকাশ করা হয়। বিচারপতিরা সাফ বলেন, ‘‘হিন্দু মন্দির পরিচালনার বোর্ডে তো অন্য ধর্মাবলম্বীদের রাখা হয় না। তিরুপতি বোর্ডেই বা কে আছে? তাহলে ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য কেন?’’
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি কুমার উদাহরণ হিসেবে তিরুপতি বোর্ডের কথাও তোলেন। শীর্ষ আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর, প্রধান বিচারপতি কেন্দ্রীয় সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে স্পষ্ট প্রশ্ন রাখেন—“হিন্দু ধর্মীয় ট্রাস্টে কি মুসলিম সদস্য নিয়োগ করা হবে?”
এই প্রশ্নগুলির প্রেক্ষিতে সাত দিনের সময় চেয়েছে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে কেন্দ্রকে হলফনামা দিয়ে বিস্তারিত জবাব দিতে হবে। এর মধ্যেই স্পষ্ট নির্দেশ, কোনও ওয়াকফ বাই ইউজার সম্পত্তির চরিত্র বদল করা যাবে না, এবং ওয়াকফ কাউন্সিল বা বোর্ডে নতুন করে অমুসলিম কাউকে নিয়োগ করা যাবে না।
এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ৫ মে। তার আগ পর্যন্ত শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী নির্দেশ বলবৎ থাকবে।