ভারতের উপর ২৬%, বাংলাদেশ ৩৭% এবং চিনের উপর ৩৪% আমদানি শুল্ক আরোপ আমেরিকার
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২ এপ্রিল থেকে ভারতের উপর ২৬% আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। একইসঙ্গে, চিনের উপর ৩৪%, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ২০%, জাপানের উপর ২৪%, এবং ভিয়েতনামের উপর ৪৬% শুল্ক বসানো হয়েছে। ট্রাম্পের নতুন বাণিজ্য নীতির আওতায় আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কযুক্ত বেশ কয়েকটি দেশকে শুল্ক বৃদ্ধির আওতায় আনা হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও প্রতিক্রিয়া
বুধবার মার্কিন স্থানীয় সময় বিকেল ৪টেয় ট্রাম্প এই নতুন শুল্ক নীতি ঘোষণা করেন, যা তিনি ‘পাল্টা’ বা ‘পারস্পরিক শুল্ক’ বলেও অভিহিত করেছেন। তার মতে, যে দেশ আমেরিকার পণ্যে শুল্ক আরোপ করে, তাদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমার ভাল বন্ধু। তবে, আমেরিকার পণ্যে ভারত যে ৫২% শুল্ক আরোপ করেছে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।”
বৈশ্বিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ
মার্কিন অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান কুলটনের মতে, “শুল্ক সংক্রান্ত এই পরিবর্তন দ্রুত কার্যকর হবে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক প্রবৃদ্ধি ইতিমধ্যেই ২.৬% থেকে কমে ২.৩% হয়েছে, আর আমেরিকায় মূল্যবৃদ্ধির হার কমেছে ১.৫%। নতুন শুল্কনীতি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আরও প্রভাব ফেলতে পারে।”
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ভারত এই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং বিকল্প কৌশল নিয়ে ভাবছে। নয়াদিল্লি আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে ট্রাম্পের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভারত শুল্কের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনায় আসতে পারে।
অন্যান্য দেশের উপর শুল্কের হার
বাংলাদেশ: ৩৭%
চিন: ৩৪%
ইউরোপীয় ইউনিয়ন: ২০%
ভিয়েতনাম: ৪৬%
জাপান: ২৪%
দক্ষিণ কোরিয়া: ২৫%
যুক্তরাজ্য: ১০%
থাইল্যান্ড: ৩৬%
সুইজারল্যান্ড: ৩১%
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর রাষ্ট্রপ্রধানেরা যদি আমেরিকার শুল্ক হার কমানোর জন্য ট্রাম্পের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তবে তিনি তা বিবেচনা করবেন। এই শুল্ক নীতির ফলে আমেরিকা ও তার বাণিজ্য অংশীদারদের মধ্যে নতুন আলোচনার পথ খুলে যেতে পারে। তবে, বর্ধিত শুল্ক আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।