গাছ লাগানোর কোর্স কলেজে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা। বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবছর অত্যাধিক গরম পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে পরিবেশবিদরা বেশি বেশি গাছ লাগানোর কথা বলছেন। আর এর জন্য চাই ব্যাপকহারে জনসচেতনতা। বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে অভিনব উদ্যোগ নিল। বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তারিফুল ইসলাম এই উদ্যোগ নিয়েছেন। বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের একটি কোর্সে শিক্ষার্থীদের ৩২টি গাছ লাগানোর ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ দিয়েছেন তিনি।
তারিফুল ইসলাম বছেলেন, এমন গাছ লাগাতে হবে, যেটা পরিবেশগত উন্নয়ন ও পুষ্টির চাহিদা—দুটিই পূরণ করবে। সেই জায়গা থেকে শিক্ষার্থীদের ফলদ বৃক্ষের পাশাপাশি দু-একটা ঔষধি ও ফুলের গাছ লাগানোর নির্দেশনা দেন। এর ফলে শিক্ষার্থীদের লাগানো গাছের মধ্যে ২৮টি ছিল ফলগাছ (আমড়া, কাঠবাদাম, বরই, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি), ২টি ঔষধি গাছ এবং ২টি ছিল ফুলের গাছ।
কলেজ ক্যাম্পাসের গাছ লাগানো হয়েছে। এমন জায়গাতে গাছ লাগানো হয়েছে যেখানে ভবিষ্যতে নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার সুযোগ নেই। দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় ব্যাচে শিক্ষার্থী ৫০ জন। ৫০ সদস্যের ব্যাচে কেন ৩২টি গাছ লাগানোর সিদ্ধান্ত হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে তারিফুল ইসলাম বলেন, ‘একটা করে গাছ লাগিয়ে আবার বেড়া দিতে হয়, সে ক্ষেত্রে ব্যয় বেশি হয়ে যাবে। এটা যেন শিক্ষার্থীদের জন্য বোঝা হয়ে না যায়, সে জন্য বলেছিলাম, তোমরা গাছের সংখ্যাটা কমিয়ে বরং রক্ষণাবেক্ষণে জোর দাও। আমরা যে কয়টি গাছ লাগাচ্ছি, সব যেন সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে।’
এই অ্যাসাইনমেন্টে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর খরচ হয়েছে ১০০ টাকা। তারিফুল ইসলাম বলেন, যেকোনও অ্যাসাইনমেন্টেই কিন্তু কিছু টাকা খরচ হয়ে যায়। যেমন কাগজ–কলম কেনা, স্পাইরাল বাইন্ডিং। এক্ষেত্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের ৮০-৯০ বা ১০০ টাকা খরচ হয়েই যায়।
সমাজ ও পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তারিফুল ইসলাম। একই অ্যাসাইনমেন্ট তিনি প্রথম ব্যাচ ও তৃতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরও দিয়েছেন। তাঁর এই উদ্যোগ বছরব্যাপী চলতে থাকবে বলে তিনি জানান। তথ্যসূত্র: প্রথম আলো