কারাবন্দী ইমামোগুল, গ্রেফতার হাজারের বেশি, এরদোগানের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল তুরস্ক
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: টানা ছয় রাত প্রতিবাদ বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক। রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা একরেম ইমামোগুলকে গ্রেফতারির পর বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ জমায়েতে শামিল হওয়া ও অশান্তির দরুন সাংবাদিকসহ মোট ১১৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ২০১৩ সালের পর এত বড়ো আকারের বিক্ষোভ দেখেনি তুরস্ক, জানাচ্ছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি।
ইমামোগুলের গ্রেফতারি
ইস্তানবুলের মেয়র তথা তুরস্কের প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির নেতা একরেম ইমামোগুলকে বুধবার মেয়র পদ থেকে অপসারিত করা হয়। এরপর তাঁকে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর ফলে আঙ্কারা, ইস্তানবুলের মতো শহরের রাস্তা প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। এর বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, “অভিযোগের জবাব দেওয়ার পরিবর্তে বিরোধী দলগুলি গত পাঁচ দিন ধরে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য এবং বেআইনি মন্তব্য পেশ করছেন।”
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরেই এই অশান্তি?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরেই এই অশান্তি। একরেম তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। এরদোগানের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট পদের যোগ্যতম দাবিদার ছিলেন একমাত্র একরেম। প্রেসিডেন্ট এরদোগান যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
জেলে থেকেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারবেন ইমামোগুল
তবে কারাবন্দী থাকা সত্ত্বেও একরেমকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা রিপাবলিকান পিপলস পার্টির। জেলে থাকলেও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে লড়তে পারবেন তিনি।
বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস, পেপার স্প্রে
তুরস্কে এত বড়ো বিক্ষোভ হয় ২০১৩ সালে। স্থানীয় একটি পার্ক ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে। এবারের বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণভাবে চললেও রবিবার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস, পেপার স্প্রে করেন। যা এই বিক্ষোভকে বিশালকার দেয়।

বর্ষা দাস গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় পিজি ডিপ্লোমা করেছেন। অবসর সময়ে ঘুরতে, লেখালেখি করতে ভালোবাসেন।