Tuesday, June 24, 2025
দেশ

ভারতকে পাকিস্তান বানাতে ১৯৩০ থেকে জনসংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে মুসলিমরা: ভাগবত

গুয়াহাটি: বিশ্বের দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত। বর্তমানে ভারতের জনসংখ্যা যা পরিস্থিতি কয়েক বছরের মধ্যেই চিনকেও ছাপিয়ে যাবে। জনংসখ্যা নিয়ন্ত্রণ দেশজুড়ে আইন আনার কথা ভাবছে সরকার। এ মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত।

অসমের গুয়াহাটিতে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মোহন ভাগবত বলেন, ভারতকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় ১৯৩০ সাল থেকে দেশে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ভাগবত বলেন, ১৯৩০ সাল থেকে, সংগঠিত পদ্ধতিতে মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে তাদের শক্তি বৃদ্ধি করা যায় এবং এই দেশকে পাকিস্তান করা যায়। পাঞ্জাব, সিন্ধু, অসম, পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্ত পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যাতে কিছুটা হলেও সাফল্যও মিলেছে।


মোহন ভাগবত বলেন, ভারত পাকিস্তান ভাগ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু অসম আলাদা হয়নি, আর পশ্চিমবঙ্গ এবং পাঞ্জাব অর্ধেক করে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। ওরা চেয়েছিল এই রাজ্যগুলির মধ্যে একটি করিডর বানাতে। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। তবে এখনও সেই চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ওদের লক্ষ্য একটাই ছিল- জনসংখ্যা বাড়ানো। তার আজও ওদের সাহায্য করা হয়। ওদের উদ্দেশ্য এটাই- ওরা যেখানে বাস করবে সেখানে ওদেরই আধিপত্য থাকবে আর বাকিরা ওদের করুণায় থাকবে।

সংঘ প্রধান বলেন, এখনও চেষ্টা চালাচ্ছে। সিএএ নিয়ে ভারতীয় মুসলিমদের ভয়ের কিছু নেই। নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের সাথে কোনও ভারতীয় মুসলিম নাগরিকের কোনও যোগসূত্র নেই। এটি কোনও ভারতীয় মুসলিমদের ক্ষতি করবে না। তাঁর কথায়, সিএএ, এনআরসি কোনও ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে তৈরি আইন নয়। ভারতীয় মুসলিমরা সিএএ থেকে কোনও ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।

মোহন ভাগবতের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই এই দুই বিষয়কে হিন্দু-মুসলিমের বিষয় করে তোলা হয়েছে। কিন্তু আদৌ এটা হিন্দু-মুসলিমের ব্যাপার নয়।