Saturday, May 24, 2025
Latestরাজ্য​

বিজেপিকে আটকাতেই মোথাবাড়িতে জারি ১৬৩ ধারা, অথচ ৪-৫টি গাড়ি নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সাবিনা ইয়াসমিন: সুকান্ত মজুমদার

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: মালদার মোথাবাড়িতে সাম্প্রতিক হিংসার জেরে প্রশাসন ১৬৩ ধারা (পূর্বতন ১৪৪ ধারা) জারি করেছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, বিজেপিকে আটকাতেই এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এদিকে, জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তৃণমূল বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ‘৪-৫টি গাড়ি নিয়ে’ এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতা।

সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টভাবে বলেছেন, “শুধু বিজেপির জন্য ১৪৪ ধারা কেন থাকবে? নাকি পশ্চিমবঙ্গে শুধুই তোষণের জন্য এই ধারা তৈরি হয়েছে? আমি মোথাবাড়ি যাবই, যদি বাধা দেওয়া হয়, তবে গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করব।”

মোথাবাড়ি হিংসা: এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি

মোথাবাড়ি হিংসার ঘটনায় প্রশাসন এখনও পর্যন্ত ১৯টি মামলা রুজু করেছে এবং ৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার সময় তৃণমূলের চারজন বিধায়ক থানায় উপস্থিত ছিলেন এবং পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করলেও, বিজেপি নেতাদের জন্য কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিজেপির প্রতিক্রিয়া

গত ২৭ মার্চ মোথাবাড়িতে হিন্দুদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিজেপি। বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছিলেন, “সংখ্যালঘু তোষণ করতে করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার হিন্দুদের অস্তিত্ব সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। মোথাবাড়ির চৌরঙ্গী মোড়ে ৬০-৭০টি হিন্দু দোকান লুট করা হয়েছে, বাড়িঘর আক্রমণ করা হয়েছে এবং রাস্তার দখল নিয়ে গাড়ি ভাঙচুর চলছে। অথচ পুলিশ প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।”

সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের হিন্দু নেতারাও মেনে নিচ্ছেন যে এই হিংসা পূর্বপরিকল্পিত। বাংলার নিপীড়িত হিন্দুরা এই তোষণের বিরুদ্ধে ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রতিশোধ নেবেন।”

রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে

এই ঘটনার পর বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে মোথাবাড়ির সাম্প্রতিক অস্থিরতা যে রাজ্যের রাজনৈতিক আবহে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, তা বলাই বাহুল্য।