‘কিছু সময় পরে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিজে থেকেই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে’, দাবি প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংয়ের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: তরতরিয়ে উন্নতি করে চলেছে ভারত। চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানের আমজনতা। পাশাপাশি, পাক সরকারের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পাকিস্তান নাগরিকরা। তাদের অভিযোগ, ভারত যখন ব্যাপকভাবে উন্নতি করে চলেছে তখন পাকিস্তানের মানুষরা ফ্রিতে রেশন, বিদ্যুতের অভাব, জ্বালানির সংকট- সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিং।
প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিং দাবি করলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) নিজে থেকেই ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে। এটা আর কিছু সময় সময়ের অপেক্ষা বলে দাবি করেন তিনি।’ চলতি বছরের শেষের দিকে রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজস্থানের দউসায় এক জনসভায় দাঁড়িয়ে এই মন্তব্য করেন ভি কে সিং।
#WATCH | Dausa, Rajasthan | “PoK will merge with India on its own, wait for some time,” says Union Minister Gen VK Singh (Retd.) when asked that people in PoK have demanded that they be merged with India. (11.09.2023) pic.twitter.com/xG2qy7hXEm
— ANI (@ANI) September 12, 2023
উল্লেখ্য, ভারতের চন্দ্রযান ৩ এর সাফল্যের পর সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের এক পোশাক বিক্রেতা বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান ১০০ বছর পিছিয়ে আছে ভারতের থেকে। আজ থেকে ১০০ বছর পরে হয়তো পাকিস্তান চাঁদে পা রাখবে। তবে তারও কোনও আশা দেখছি না। কারণ আমাদের রাজনীতিকরা নিজেদের মধ্যে লড়াই করে চলেছে। একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। একজন আরেকজনকে চোর বলছেন। এর জন্য সাধারণ মানুষ শান্তিতে থাকতে পারছে না।’
পাকিস্তানি এক তরুণ বলেন, ‘ভারত চাঁদে পা রাখলো। আর আমরা পাকিস্তানিরা চড়া দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে নাজেহাল। আমাদের দেশের সরকার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে উদাসীন।’
আরেকজন বলেন, ‘শিক্ষায়-দীক্ষায় পাকিস্তানের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ভারত। আমি দুবাইতে কাজ করি। সেখানে ভারতীয়দের আমি দেখেছি। তারা অনেক শিক্ষিত। আর পাকিস্তানিদের মধ্যে যারা শিক্ষিত, তারা সুযোগ পায় না। আর কেউ এগোতে চাইলেও পাকিস্তানে তাকে দাবিয়ে দেওয়া হয়। কেউ ভালো প্রোজেক্ট চালু করতে চাইলে সরকার তা সমর্থন করে না। সরকার সাহায্য করলে পাকিস্তানও অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারতো। পাকিস্তানে মেধার অভাব নেই।’
অপর আরেকজন বলেন, ‘ভারতের আইটি ছাত্ররা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। ভারত আইটি খাতে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ভারতের সরকার সেদেশের আইটি খাতকে সাহায্য ও সমর্থন করে। আইটি সেক্টরের জন্য আলাদা বাজেট বরাদ্দ হয়। আর পাকিস্তানে আইটি খাতের জন্য কোনও বাজেট নেই। সরকার কোনও সাহায্য করে না। আইটি খাতে এখানে কাজের কোনও সুযোগ নেই। পাকিস্তানে পড়াশোনার মানও ভালো না। আর ভারত অনেকটাই এগিয়ে আমাদের থেকে।’