‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে পাশে রয়েছে আমেরিকা’, লাদেন খতমের বার্ষিকীতে বার্তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনার পারদ চড়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জানা গেছে, তিনি ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনাকে ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলেও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, যার জবাবে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও ফোনে কথা বলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে। এই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল অঞ্চলজুড়ে উত্তেজনা প্রশমন করা এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ খুঁজে বের করা। রুবিও ভারতকে সংযত থাকার পরামর্শ দেন, এবং একইসঙ্গে পাকিস্তানকে তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে আমরা ভারতের পাশে আছি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই বার্তাই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে দিয়েছেন।” একইসঙ্গে ব্রুস এও জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কূটনৈতিক সংলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টও এদিন স্পষ্টভাবে পাকিস্তানকে একহাত নিয়ে ভারতের অবস্থানের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ফোনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেন এবং জানান, “ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা ভারতের পাশে আছি।”
এদিকে পাকিস্তান সমর্থন পেয়েছে চিন, তুরস্কের মতো দেশের কাছ থেকে, তবে ভারতের পক্ষে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, ইজরায়েল, রাশিয়া, ব্রিটেনের মতো বিশ্বশক্তিধর রাষ্ট্রগুলি। এই কূটনৈতিক সমর্থন ভারতে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 2 মে, 2011 তারিখে “অপারেশন নেপচুন স্পিয়ার” নামে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল-কায়েদার প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে। এই অভিযানে ইউএস নেভি সীল এর একটি দল (সিল টিম সিক্স) অংশ নেয়। ওসামা বিন লাদেন ছিলেন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা এবং 11 সেপ্টেম্বর 2001 সালের টুইন টাওয়ারে সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।