Saturday, May 24, 2025
FEATUREDLatestদেশ

পাল্টা জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: কাশ্মীরের পেহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এই ঘটনা শুধু দেশকে স্তম্ভিতই করেনি, বরং একপ্রকার যুদ্ধঘোষণার পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট এবং বিভিন্ন সূত্রের ভিত্তিতে এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ মদতের প্রমাণ উঠে এসেছে। দেশজুড়ে পাকিস্তানকে পাল্টা আঘাতের দাবি তীব্র হয়েছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাসভবনে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, সেনাবাহিনীর চিফ জেনারেল অনিল চৌহান-সহ তিন বাহিনীর প্রধানরা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সামরিক-কূটনৈতিক আধিকারিকেরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়— পাকিস্তানকে কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সেনার ওপর পূর্ণ আস্থা, পূর্ণ স্বাধীনতা

প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্ট জানান, “কবে, কোথায় এবং কীভাবে হবে পাল্টা জবাব দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। উপযুক্ত সময়ে যথাযথ জবাব দিতে সেনার কোনও রকম রাজনৈতিক অনুমতির জন্য অপেক্ষা করার দরকার নেই।” ফলে স্পষ্ট বার্তা যে, এবার কূটনৈতিক প্রতিবাদের গণ্ডি ছাড়িয়ে সরাসরি জবাবের পথে হাঁটছে ভারত।

পাকিস্তানে উত্তেজনা, প্রতিক্রিয়া শুরু

এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ও সেনা সূত্রে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তারা আশঙ্কা করছে, ভারত সীমান্ত পেরিয়ে কোনও বড় আঘাত হানতে পারে। এমনকি, পাকিস্তানের জলসীমা ও আকাশসীমাতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।

সরকারের কড়া বার্তা ও সম্ভাব্য পদক্ষেপ

জঙ্গি হামলার পরপরই ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস, জলবণ্টন চুক্তি পুনর্বিবেচনা, ভিসা বাতিল, পাকিস্তানের নাগরিকদের দেশত্যাগের নির্দেশ সহ একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে সরকার জানিয়েছে, আরও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।