পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর তৎপরতা, গুজরাটে গ্রেফতার ১০২২ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন মেট্রোপলিটান শহরে নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি, গুজরাটে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। আমদাবাদ এবং সুরাটে একযোগে অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ১০২২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে।
সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। বেআইনি উপায়ে এদেশে প্রবেশ করেছিলেন তাঁরা এবং ভুয়ো কাগজপত্রের সাহায্যে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টাও করছিলেন। আমদাবাদে ৮৯০ জন এবং সুরাটে ১৩২ জন বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযানে গুজরাট পুলিশ, স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি), ক্রাইম ব্রাঞ্চ, অ্যান্টি-হিউম্যান ট্র্যাফিকিং ইউনিট, ইকোনমিক অফেন্স উইং এবং স্থানীয় থানাগুলি যৌথভাবে অংশ নেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে ধৃত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমদাবাদে শনিবার ভোর ৩টে থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছিল এবং টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে তা চলে।
অন্যদিকে, পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরে চলছে ব্যাপক চিরুনি তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত জঙ্গিদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রাজৌরি সেক্টরে সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। কুলগামে ২ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি এবং বান্দিপোরায় একজন সন্দেহভাজন ইজাজ আহমেদকে আটক করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া বর্ণনার সঙ্গে ইজাজ আহমেদের চেহারার মিল পাওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
পাহেলগাঁও হামলার প্রত্যাঘাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলওয়ামার মুরানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয় জঙ্গি এহসান-উল-হক শেখের বাড়ি। একইভাবে কুলগামের মাতালহামায় জাকির আহমেদ গণিয়ার এবং সোপিয়ানের চটিপোরায় শহিদ আহমেদ কুতেইয়ের বাড়িও উড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ত্রাল এবং বিজবেহারায় লস্করের আরও দুই জঙ্গি আসিফ আহমেদ শেখ এবং আদিল গুরুর বাড়িও বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছে।
পহেলগাঁও হামলার পর গোটা দেশজুড়ে চিরুনি তল্লাশি চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান স্পষ্ট যে, দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে কোনওরকম আপস করা হবে না।
