আফগানিস্তানে নারীদের ট্যাক্সি চড়তে গেলে বোরকা বাধ্যতামূলক, নয়া ফতোয়া জারি তালিবানের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: আফগানিস্তানের নারীদের উপর দমন-পীড়ন অব্যাহত। এবার জানা গেল, বোরকা ছাড়া আফগান মহিলারা ট্যাক্সিতে উঠতে পারছেন না। গত কয়েক মাস ধরে এই সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন আফগান নারীরা।
ট্যাক্সি চালক ফেরেদুন তার গাড়িতে কোনও বেপর্দা নারীকে উঠতে দেন না। এর পিছনে কারণ হিসেবে ফেরেদুন জানান, বেপর্দা নারীকে গাড়িতে নিলে তালিবান তাকে বেদম মারধর করবে।
ফেরেদুন জানান, তালিবানেরা একাধিকবার তার গাড়ি থেকে বোরকা না পরার কারণে অনেক নারীকে বের করে দিয়েছে। বোরকা ছাড়া নারীদের গাড়িতে তোলায় তাকেও একাধিকবার শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
২০২১ সালে মার্কিন সেনা আফগানিস্তানের ছেড়ে যাওয়ার পর সেদেশে ক্ষমতায় আসে তালিবান। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশে শরিয়া শাসন জারির কথা বলে তালিবান।
২০২২ সালের মে মাসে তালিবান নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা আদেশে দেন, ‘ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষা করতে নারীদের জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখতে হবে।’
তালিবান ক্ষমতায় আসার পর নারীদের বিভিন্ন চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যেতেও বাধা দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে বিউটি পার্লার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নারীরা যাতে জনসমক্ষে মুখ প্রদর্শন করতে না পারেন সে বিষয়ে চাপ দেওয়া হচ্ছে।
তালিবান সরকার আফগানিস্তানে ‘নৈতিক পুলিশ’ মোতায়েন করেছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয় আদেশ জারি করেছে, কোনও ট্যাক্সি, রিকশা এবং অন্য যেকোনও যাত্রীবাহী গাড়ি যেন বোরকা বা পর্দা ছাড়া কোনও মহিলাকে গাড়িতে না তোলেন।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে তালিবান শাসনামলে আফগান নারীদের বোরকা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। ১২ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের পড়াশোনার অনুমতি ছিল না। নারীদের চাকরি করাও নিষিদ্ধ ছিল।
আফগানিস্তানের পাপ-পুণ্য বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আকিফ মোহাজের বলেন, ‘নারীকে বাইরে বের হলে অবশ্যই সঙ্গে পুরুষ থাকতে হবে। নারীরা চাদর বা ইসলামি হিজাব পড়তে হবে।’