‘মমতা ভারতবিরোধী, দেশের উন্নতি চান না’, মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া আক্রমণ বিহারের নেতাদের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিহারে। বিজেপির একাধিক নেতা—গিরিরাজ সিং, সঞ্জয় জয়সওয়াল, বিজয় কুমার সিনহা, শাহনওয়াজ হুসেনসহ অনেকে মমতার বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বিতর্কের সূচনা
কেলগ কলেজের এক অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে ভারত বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। শীঘ্রই এটি তৃতীয় স্থান অর্জন করবে এবং ২০৬০ সালের মধ্যে ভারতের অর্থনীতি বিশ্বের এক নম্বর হতে পারে, এ সম্পর্কে আপনার মতামত কী?”
এর উত্তরে মমতা বলেন, “আমি এর সঙ্গে সহমত নই।” এই বক্তব্য ঘিরেই বিতর্কের সূত্রপাত।
বিজেপি নেতাদের প্রতিক্রিয়া
বিহারের বিজেপি নেতারা মমতার মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেন বলেন, “মমতা দিদির উচিত বাংলার দায়িত্ব নেওয়া, অক্সফোর্ড নিজেরাই নিজেদের খেয়াল রাখবে। তার সরকারের কর্মকাণ্ড যদি ভালো না হয়, তবে সর্বত্র বিরোধিতা হবে।”
বিজেপি সাংসদ সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতি নির্ভর করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের উপর। কীভাবে তাদের ভারতে জায়গা করে দেওয়া যায় এবং সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া যায়, সেটাই তাঁর লক্ষ্য। তাঁর হৃদয় ভারতবিরোধী।”
বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে পথে হাঁটছেন, গোটা দেশ কীভাবে তাঁর পাশে দাঁড়াবে? তাঁরা যদি সনাতনের সন্তানদের লজ্জা দেন, তাহলে তার ফল ভোগ করতে হবে।”
গিরিরাজ সিং-এর কটাক্ষ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বলেন, “গোটা বিশ্ব ভারতের অর্থনৈতিক শক্তির কথা স্বীকার করে। আইএমএফ বলছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সত্য গোপন করে ভারতকে অপমান করছেন। যখনই টুকরে টুকরে গ্যাং বিদেশে যায়, তখনই তারা ভারতকে অপমান করে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”