Monday, November 17, 2025
Latestরাজ্য​

কাকদ্বীপে কালী প্রতিমা ভাঙার অভিযোগ, প্রিজন ভ্যানে ভাঙা দেবী মূর্তি নিয়ে গেল পুলিশ

কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মা কালীর মূর্তি ভাঙার অভিযোগ উঠলো। গতরাতে কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ ভাঙা প্রতিমাটিকে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগ উঠেছে। 

এদিন সকাল থেকেই গ্রামবাসীরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশ দ্রুত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার জন্য তাদের উপর চাপ দিচ্ছে, অন্যদিকে অপরাধীদের গ্রেফতারের কোনও প্রচেষ্টা দেখা যাচ্ছে না। তাঁরা দাবি জানান, “আমরা ন্যায়বিচার চাই, বিসর্জন নয়।”

শত শত হিন্দু বাসিন্দা ভাঙা কালী মূর্তি নিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন। তাঁরা সূর্যনগর পঞ্চায়েত অফিসের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে জোর করে এবং লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভ দমন করে। পুলিশ প্রিজন ভ্যানে করে ভাঙা মূর্তিটিও নিয়ে যায়।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা শান্তিপ্রিয় মানুষ। কিন্তু প্রশাসন যদি দোষীদের না ধরে, তাহলে এই ক্ষোভ রাস্তায় নেমে আসবে। আমাদের দেবীর মাথা ভেঙে ফেলা হয়েছে – এটি কেবল একটি মূর্তি নয়; এটি আমাদের অস্তিত্বের উপর আক্রমণ।”


এদিকে, প্রিজন ভ্যানে দেবী মূর্তি নিয়ে যাওয়ার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পোস্টে শুভেন্দু লেখেন, “ভিডিওটা দেখে কেউ বাংলাদেশ বলে ভুল করবেন না, এটা পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান অবস্থা। আমি বার বার বলেছি পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানানোর চক্রান্ত চলছে, হিন্দুরা এখনি না জাগলে সমূহ বিপদ অপেক্ষা করছে আগামী দিনে।”


শুভেন্দু অধিকারী আরও লেখেন, “গত রাতে কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে মা কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে চলে গেছে জেহাদিরা। রাজ্য প্রশাসন যথারিতি তৎপর ঘটনা চাপা দিতে। পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রদিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে দেয় পুলিশ ও ছবি সংগ্রহ করতে দিতে বাধ্য হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি মমতার নির্লজ্জ প্রশাসন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তুষ্টিকরণের রাজনীতির ফল ভোগ করছে পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা। মমতার অপশাসনে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের সন্ত্রাসীদের পশ্চিমবঙ্গে হিন্দু দেবদেবীদের প্রতিমা ভাঙচুর, মণ্ডপ ভাঙচুর, হিন্দুদের বাড়িঘর লুটপাট করা বা জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আজ পর্যন্ত কোনো শাস্তি হয় নি, যে কারণে এই ধরণের জেহাদি কার্যকলাপ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুরা এখনি জেগে না উঠলে, সংঘবদ্ধ না হলে সামনে সমূহ বিপদ।”

শুভেন্দু লেখেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ শেষমেশ মা কালী কে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে গেলো !!! ছিঃ ছিঃ, এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই… 

গতকাল কাকদ্বীপ বিধানসভার সূর্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার উত্তর চন্দনপুর গ্রামের পুজো মণ্ডপ থেকে মা কালীর প্রতিমার মাথা কেটে নিয়ে চলে যায় জেহাদিরা।

রাজ্য প্রশাসন যথারিতি তৎপরতার সঙ্গে ঘটনা চাপা দিতে সব রকম প্রয়াস করে। পুলিশ প্রথমে গ্রামবাসীদের ভয় দেখিয়ে মন্দিরের দরজা বন্ধ করলেও গ্রামবাসীদের সম্মিলিত প্রদিবাদে মন্দিরের দরজা খুলতে বাধ্য হয় পুলিশ।

দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা না করে পুলিশ গ্রামবাসীদের দমন করার এই অপচেষ্টা করায় হিন্দুরা জেগে ওঠে ও সংঘবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করায় পুলিশের ওপরমহলে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হয়। কয়লা মামলায় পাঁচ বার ইডির তলব পাওয়া নির্লজ্জ বেহায়া সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও, কয়েকশো পুলিশ নিয়ে মা কালীর ভাঙ্গা মূর্তিকে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে পালালো। কাকদ্বীপের হিন্দুদের সংঘবদ্ধ লড়াইকে কুর্নিশ জানাই।”

তথ্যসূত্র: Hindu Voice