মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্কের পথে হাঁটছে না ভারত, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ভারত ও আমেরিকার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যচুক্তি দ্রুত পরিণতি পাবে। নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন—উভয় পক্ষই এ বিষয়ে সহমত পোষণ করেছে। সোমবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর আলোচনা হয়। শুধু বাণিজ্য নয়, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইউরোপ, পশ্চিম এশিয়া এবং ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়েও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।
বাণিজ্যচুক্তি প্রসঙ্গটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নয়া শুল্কনীতির প্রেক্ষিতে। তিনি ভারতসহ একাধিক দেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, যার ফলে ভারতীয় রফতানিপণ্যের উপর ২৬ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হয়েছে। এই ঘোষণার আগে থেকেই ভারত ও আমেরিকার মধ্যে শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনা চলছিল। মার্কিন প্রতিনিধিদল সম্প্রতি দিল্লি সফর করে কয়েক দফার আলোচনা চালিয়েছে।
তবে এখনও পর্যন্ত ভারত পাল্টা কোনও শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়নি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি পরিস্থিতি নিয়ে পারস্পরিক আলোচনার পথেই হাঁটছে। বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক জানিয়েছে, আমেরিকার প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই বিভিন্ন শিল্প ও রফতানিকারক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্র অনুযায়ী, এই বৈঠক হতে পারে আগামী বুধবার।
ভারতের রফতানি পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, দেশের মোট রফতানির প্রায় ১৮ শতাংশ যায় মার্কিন বাজারে, এবং আমদানির ক্ষেত্রে ৬.২২ শতাংশ মার্কিন পণ্য আসে ভারতীয় বাজারে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ১০.৭৩ শতাংশ। ফলে এই নতুন শুল্কনীতির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে রফতানিকারক মহলে। চিংড়ি, কার্পেট, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং সোনার গহনা রফতানিকারকদের ক্ষেত্রে ধাক্কা লাগার আশঙ্কা প্রবল। এই প্রেক্ষিতে রফতানিকারক সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই মোদি সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছে।