অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল পাকিস্তানের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল ভারতীয় আকাশসীমা
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরেই আর্থিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক ঋণের বোঝা, দুর্বল রপ্তানি খাত, বিদেশি মুদ্রার অভাব এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ার মুখে। এর মধ্যেই একের পর এক কূটনৈতিক ভুলে নিজের অবস্থান আরও সংকটজনক করে তুলছে ইসলামাবাদ। সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ভারতীয় নাগরিকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপমহাদেশের রাজনৈতিক আবহ। এই ঘটনার পর ভারতের কড়া অবস্থান এবং পাল্টা সিদ্ধান্তে চাপে পড়েছে পাকিস্তান।
ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ: চূড়ান্ত ধাক্কা
জানা গিয়েছে, নয়াদিল্লি থেকে জারি হয়েছে একটি নতুন নির্দেশিকা, যার ফলে পাকিস্তানি বিমান আর ভারতের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারবে না। ফলে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু চিন কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে পৌঁছনোর জন্য এখন থেকে ঘুরপথে যেতে হবে। এতে সময় যেমন বাড়বে, তেমনই বাড়বে জ্বালানির খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়। শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মায়ানমার কিংবা বাংলাদেশের মতো দেশেও যেতে অতিরিক্ত সময় ও অর্থের প্রয়োজন হবে।
সিমলা ও সিন্ধু চুক্তি বাতিল: বুমেরাং পাকিস্তানের জন্যই
পাকিস্তানের তরফে সম্প্রতি একতরফাভাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে আন্তর্জাতিক পরিসরে চাপে ফেলা। কিন্তু বাস্তবে এই সিদ্ধান্ত ভারতের উপর তেমন প্রভাব না ফেললেও কূটনৈতিকভাবে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইসলামাবাদ। এর আগেও সিন্ধু জলচুক্তি কার্যত বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের নাগরিকদেরই বিপাকে ফেলেছে তারা। দেশজুড়ে জলসংকট দেখা দিয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
ভারতের কঠোর কৌশল ও পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রতিটি পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপ পাকিস্তানের দিশাহীন নীতির জবাব হিসেবে দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের এই ‘স্ট্র্যাটেজিক রেসপন্স’ শুধু কূটনৈতিকভাবে নয়, আর্থিকভাবেও ইসলামাবাদকে ধাক্কা দিচ্ছে।
