বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ভারতীয় হিন্দু তরুণীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে, গর্ভবতী হতেই মারধর, ধর্ষণ; অভিযুক্ত আব্দুল ওয়াকিল
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে মেডিকেলে পড়ালেখা করতে বাংলাদেশে যান ভারতীয় তরুণী অমৃতা দত্ত। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশি যুবক আব্দুল ওয়াকিলের সঙ্গে তার ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়। এরপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলে ওয়াকিল তাকে হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বলেন। ২০২২ সালের ১২ সেপ্টেম্বর অমৃতা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। অমৃতার নতুন নাম হয় মেহজাবিন চৌধুরী। এরপর ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর তারা বিয়ে করেন।
বিয়ের পর তারা ঢাকাতে ঘরভাড়া নিয়ে থাকে। অমৃতা অরফে মেহজাবিন ওয়াকিলের বাড়িতে যেতে চায়। অভিযোগ ওয়াকিল তাকে একতরফা তালাক দেয়। এরপর ওয়াকিল তাকে ফোন করে বোঝায় এবং বলে তারা একসঙ্গে থাকতে চায়। তারা দু’জনে কক্সবাজার ঘুরতে যায়। অভিযোগ, গর্ভবতী অমৃতা অরফে মেহজাবিনকে ধর্ষণ করে ওয়াকিল।
বর্তমানে অমৃতা নয় সপ্তাহের গর্ভবতী। গত ৫ মার্চ বিষয়টি জানালে ওয়াকিল তাকে গর্ভপাত করতে বলেন। প্রতিবাদ করলে তাকে চড়থাপ্পড় মারেন। তাকে ১০ লাখ টাকা না দিলে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যান।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকার সূত্রাপুর থানায় মামলা করেছেন অমৃতা। মেহেজাবিন চৌধুরী ওরফে অমৃতা দত্ত বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে তিনি আমাকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে আসছেন। আমি নয় সপ্তাহের গর্ভবতী। আমাকে এখন তালাক দিতে চাচ্ছেন। আমি ন্যায়বিচার চাই। তার সঙ্গে সংসার করতে চাই।’
তথ্যসূত্র: Jago News 24