মাঝ রাস্তায় বাস দাঁড় করিয়ে নমাজ পড়লেন সরকারি বাসের ড্রাইভার, ভিডিও ভাইরাল হতেই সাসপেন্ড করা হলো চালককে
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ডিউটির সময়ে বাস থামিয়ে নমাজ পড়ার অভিযোগে কর্ণাটকের হাভেরী জেলায় এক সরকারি বাসচালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (KSRTC) বাস চালক মোল্লার এই ঘটনায় শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক, তদন্তের নির্দেশ দেয় পরিবহণ দফতর।
ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ এপ্রিল। হুবলি থেকে হাভেরী যাওয়ার পথে জাভেরি এলাকায় মাঝরাস্তায় বাস থামিয়ে নমাজে বসেন চালক। সেই সময় বাসে যাত্রী ছিলেন। ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চালক বাসের ভেতরে সিটে বসে নমাজ পড়ছেন, এবং যাত্রীরা তাঁর দিকে তাকিয়ে আছেন। বাস তখন মাঝরাস্তায় দাঁড়িয়ে, যদিও বাইরের রাস্তায় যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক।
এই ঘটনায় যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়ায়। অনেক যাত্রী মোবাইলে ভিডিও তুলে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করেন। তাঁদের অভিযোগ, এই আচরণের ফলে যাত্রায় দেরি হয় এবং অকারণে ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পরে কিছু যাত্রী কর্ণাটক পরিবহণ নিগমে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনা জানাজানি হতেই কর্ণাটকের পরিবহণমন্ত্রী রামলিঙ্গ রেড্ডি নর্থ ওয়েস্ট কর্ণাটক রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের (NWKRTC) জেনারেল ম্যানেজারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর বক্তব্য, “প্রত্যেক নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে, কিন্তু সরকারি দায়িত্ব পালনের সময় ধর্মীয় আচার পালন অনুচিত। যাত্রী নিয়ে রাস্তায় বাস থামিয়ে নমাজ পড়া আপত্তিকর এবং এর ফলে অন্যান্য যাত্রীদের হয়রানি হয়েছে।”
NWKRTC-এর এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, ৫৮ বছর বয়সী এ কে মোল্লার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই সহ ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একদিকে যেমন অনেকেই চালকের ধর্মীয় অধিকারকে সম্মান করার কথা বলছেন, তেমনই অন্যপক্ষ কর্তব্যরত অবস্থায় ব্যক্তিগত ধর্মাচরণের বিরোধিতা করছেন। অনেকেই বলছেন, ধর্মীয় অনুশীলন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি একজন সরকারি কর্মচারীর কর্তব্যপালনও সমান জরুরি।