গুজরাটে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: গুজরাটের আমেদাবাদে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযান চালাল প্রশাসন। মঙ্গলবার চান্দোলা তালাওঁ এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাংলাদেশি বসতিগুলিকে ভেঙে দেওয়া শুরু হয়েছে। এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নিয়েছে আমেদাবাদ পুরনিগম (AMC) ও পুলিশ যৌথভাবে। অভিযান শুরুর আগেই বিদ্যুৎ ও জলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৮০টি জেসিবি ও ৬০টি ডাম্পার ব্যবহার করে ভাঙচুরের কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন পুরনিগমের ৭টি জোনের শীর্ষ আধিকারিকরা এবং আইন-শৃঙ্খলার নজরদারিতে ছিলেন পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। শহরের পুলিশ কমিশনার নিজে ঘুরে দেখেন এলাকা, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়।
প্রশাসনের দাবি, অভিযানের আগেই অধিকাংশ বসতি খালি করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৮৯০ জন অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক বলে চিহ্নিত। এছাড়া ২০০ জনের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ায় তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বাকিদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে।
চান্দোলা তালাওঁ এলাকায় বাংলাদেশি অভিবাসীদের বসবাস নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, বহু জমি বাংলাদেশি অভিবাসীরা দখল করে বসবাস করেছেন। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অবৈধ নাগরিকদের আটক ও বেআইনি নির্মাণ গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে।
বর্তমানে শুধু আমেদাবাদ নয়, গুজরাটের সুরাট, রাজকোট ও অন্যান্য শহরেও চলছে এই অভিযান। কেন্দ্রের ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ বিরোধী নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপকে দেখা হচ্ছে। মোদী-শাহের রাজ্যে এই ধরনের কঠোর প্রশাসনিক পদক্ষেপ রাজনৈতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
গুজরাট পুলিশের এক সিনিয়র অফিসার জানিয়েছেন, “আমরা শুধু অবৈধ অভিবাসীদেরই নয়, তাদের সহযোগী দালালদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করছি। নাগরিকত্ব যাচাই না হওয়া পর্যন্ত কাউকে ছাড়া হবে না।”
জানা গেছে, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী খুঁজে বের করতে প্রশাসনের অভিযান আগামী দিনে জারি থাকবে।
তথ্যসূত্র: দ্য হিন্দু