২ মের পর TMC গুন্ডাদের আর খুঁজে পাওয়া যাবে না: যোগী আদিত্যনাথ

হুগলি: বিজেপির টার্গেট বাংলা বিজয়। লক্ষ্য হাসিল করতে রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রাণপনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বিজেপির প্রধান মুখ মোদী-যোগী সকলেই রাজ্যে সভা-সমাবেশ করছেন। রবিবার হুগলির খানাকুলের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়াকে নিশানা করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)।

যোগী আদিত্যনাথ বলেন, তৃণমূলের গুন্ডাদের সনাক্ত করতে আর মাত্র ২৮ দিন বাকি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গুন্ডারা অনেকেই জেলে রয়েছে। অনেকেই যমলোকে। এদেরও একই দশা হবে।

যোগী আদিত্যনাথ বলেন, আমি রাম ও কৃষ্ণের জন্মভূমি থেকে রামকৃষ্ণের জন্মভূমিতে এসেছি। এ মাটি নেতাজির মাটি, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মাটি। শুধু জাতীয়তাবাদ নয়, গোটা দেশের আধ্যাত্মিক চেতনাকে প্রশস্ত করেছে বাংলা। কিন্তু আজ যখন বাংলার কথা হয়, তখন বলা হয় বাংলায় এখন শুধুই গুন্ডারাজ, অরাজকতা চলছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাংলাকে মুক্তি দেওয়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি।

মমতাকে নিশানা করে তিনি বলেন, সংবিধানের শপথ নিয়ে আপনি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলের গুন্ডারা আমাদের কার্যকর্তাদের খুন করছে। এই গুন্ডাদের শনাক্ত করতে মাত্র ২৮ দিন রয়েছে। এরপর সবাইকে শাস্তি দেওয়া হবে। উত্তরপ্রদেশের গুন্ডারা অনেকে জেলে, যমলোকে চলে গেছে। কথা দিচ্ছি, ২ মে এর পর এই গুন্ডাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমাদের কার্যকর্তা যারা খুন হয়েছেন, তাদের খুনের উপযুক্ত শাস্তি দেব আমরা। বিজেপি যা বলে, তা করে দেখায়।

তৃণমূল সরকারকে বিঁধে আদিত্যনাথ বলেন, এই সরকার দুর্গাপূজা করতে দেয় না, লক্ষীপূজা, সরস্বতী পূজা, হোলি হতে দেয় না। আগে উত্তরপ্রদেশেও এমনই অবস্থা ছিল। কিন্তু এখন উত্তরপ্রদেশে সব কিছু হয়। উত্তরপ্রদেশ আয়ুষ্মান ভারত, সরকারি চাকরি, গরিবকে বিনামূল্যে রেশন, প্রধানমন্ত্রী কৃষক সুরক্ষা নিধি, সরকারি চাকরি সহ সমস্ত সুবিধা দেওয়া হয়।

আদিত্যনাথ বলেন, গত ১০ বছরে বাংলার অসংখ্য কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু কৃষকদের দুঃখের কথা শোনেন না মমতা। কৃষকদের সঙ্গে নেই। উনি গুন্ডাদের সঙ্গে আছেন।

পাশাপাশি, অযোধ্যায় রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়েও মমতাকে নিশানা করেন যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন, রাম মন্দির হওয়াতে সমস্যা হচ্ছে দিদির, তাঁর খারাপ লাগছে। কারণ, মন্দির তৈরি দিদির পছন্দের নয়। দুর্গাপূজাকেও দিদি পছন্দ করেন না।