Bikash Ranjan Bhattacharya: ‘গোটা ক্যাবিনেটটাই জেলে যেত, তাই এটাকে জয় ভাবছে তৃণমূল’, সুপ্রিম রায়ের পর মন্তব্য বিকাশ রঞ্জনের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: এসএসসি (SSC) শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরির অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মঙ্গলবার খারিজ করে দিল দেশের শীর্ষ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়ের ফলে আপাতত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য সরকার। তবে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে এই রায়কে কেন্দ্র করে উঠেছে কটাক্ষের সুর।
সিপিএম নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এই রায় নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূল তো নিজেদের জয়ী ভাববেই। গোটা ক্যাবিনেটটাই জেলে চলে যাবে, তা থেকে তাঁরা রক্ষা পেলেন। তাই এটাকে জয় মনে করছেন। কিন্তু এ কোনও নৈতিক জয় নয়, এটা জেলে যাওয়া থেকে বাঁচার জয়। দুর্নীতিমূলক নিয়োগে কোনও রকম ন্যায়বিচার হয়নি।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রভাব বিস্তার করেছে দুর্নীতি। তাঁর কথায়, “যখন টাকা নিয়ে চাকরি দিচ্ছিলেন, তখন কি মনে হয়নি শিক্ষার উপর প্রভাব পড়বে? এখন নিজেই স্বীকার করছেন, টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন।” বিকাশবাবুর মতে, এই শিক্ষকরা যদি শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বাদ পড়েন, সমাজের জন্য তা উপকারই হবে, কারণ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারবে তাঁরা কীভাবে নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজারেরও বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন, “আমি বেঁচে থাকতে কাউকে চাকরি হারাতে দেব না।” রাজ্য সরকারের তরফে বিষয়টি নিয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলা হয়েছে।
তবে বিরোধী শিবিরের মতে, এই সংকটজনক পরিস্থিতির মূল দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই। তাঁদের বক্তব্য, দুর্নীতির শিকড়ে আঘাত না করে রাজনৈতিক রক্ষা কবচ তৈরি করতেই ব্যস্ত রাজ্য সরকার। সুপ্রিম কোর্টের রায় আইনি ভাবে রাজ্যকে স্বস্তি দিলেও, নৈতিকতার প্রশ্নে রাজ্য প্রশাসন যে বিরাট চাপে, তা বলাই বাহুল্য।