‘গর্বের মুহূর্ত’, ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেল শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এবং ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র-কে। এটি ভারতীয়দের কাছে গর্বের মুহূর্ত। আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের জ্ঞানচর্চা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূল্যায়নের এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।
এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। তিনি লেখেন, “ভারতের সভ্যতার ঐতিহ্যের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। গীতা ও নাট্যশাস্ত্রের অন্তর্ভুক্তি চিরন্তন জ্ঞান ও শিল্পপ্রতিভার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।” তিনি আরও জানান, এই তালিকায় এর ফলে ভারতের ১৪টি শিলালিপিও স্থান পেয়েছে, যা আমাদের দেশের বহুমাত্রিক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতের পোস্টটি শেয়ার করে অভিনন্দন জানান এবং লেখেন, “বিশ্বজুড়ে প্রতিটি ভারতীয়ের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত। গীতা ও নাট্যশাস্ত্র আমাদের কালজয়ী জ্ঞান এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি। এরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সভ্যতা ও চেতনাকে লালন করে আসছে। তাদের অন্তর্দৃষ্টি বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।”
শ্রীমদ্ভাগবত গীতা, যা মহাভারতের অংশ, কেবল একটি ধর্মগ্রন্থ নয়—এটি ভারতীয় দর্শনের মেরুদণ্ড। কর্ম, ধর্ম, জ্ঞান ও মুক্তির এক অসাধারণ সংলাপ এতে প্রতিফলিত হয়েছে। অন্যদিকে ভরত মুনির নাট্যশাস্ত্র হল বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন নাট্যবিজ্ঞানগ্রন্থ, যেখানে রসতত্ত্ব, অভিনয়, মঞ্চব্যবস্থা, নৃত্য ও সংগীত নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে। নাট্যশাস্ত্র কেবল ভারতীয় নাট্যকলার নয়, সামগ্রিকভাবে পারফর্মিং আর্টসের ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার এমন এক তালিকা, যেখানে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল, গ্রন্থ, পাণ্ডুলিপি, দলিলভাণ্ডার সংরক্ষণের জন্য স্বীকৃত হয়। এই রেজিস্টারে ভারতের দুটি মহার্ঘ রচনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের সাংস্কৃতিক ও বৌদ্ধিক ঐতিহ্য আরও একবার স্বীকৃতি পেল।
এই সম্মান কেবল অতীতের গৌরবকেই তুলে ধরে না, বরং ভবিষ্যতের প্রজন্মের কাছে নিজেদের সংস্কৃতি ও জ্ঞানের প্রতি শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে। এটি নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য এক গর্বের অধ্যায়।
