Abhijit Gangopadhyay: OMR শিট কী পোড়ানো হয়েছে নাকি লুকনো আছে? নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রশ্ন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের
কলকাতা ট্রিবিউন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি। কলকাতা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে সুপ্রিম কোর্ট পুরো প্যানেল বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এই রায়ের পর চাকরিহারাদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুললেন তমলুকের বিজেপি সাংসদ এবং কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
ওএমআর শিট কি সত্যিই পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে?
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই মাদার ডিস্ক উদ্ধার করেছে যেখানে সব পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিট থাকার কথা। তদন্তে জানা গিয়েছিল, কিছু দুর্বৃত্ত এই শিটগুলি পুড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং বাস্তবে তা ঘটিয়েছে বলেও দাবি করা হয়। কিন্তু সেই দাবির সত্যতাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।”
তিনি আরও বলেন, “ওএমআর শিট নষ্ট হয়ে গেছে বলার পরেও স্কুল সার্ভিস কমিশন ‘রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টে’র আওতায় ওএমআর শিট সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করেছে। ফলে এটি স্পষ্ট, হয় তথ্য লুকোনো হচ্ছে অথবা গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
আদালতের নির্দেশ এবং রাজনৈতিক বার্তা
অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যখন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ছিলেন, তখনই প্রথম প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে পরে ডিভিশন বেঞ্চ এবং সর্বশেষে সুপ্রিম কোর্টও একই রায় দেয়। বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর তিনি বিজেপির টিকিটে তমলুক থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।
এই বিতর্কের মাঝে ফের একবার উঠে এল সেই প্রশ্ন—ওএমআর শিট কোথায়? সত্যিই কি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে, নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে?
কমিটি গঠনের প্রস্তাব ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
চাকরি হারানো প্রার্থীদের ভাগ্য নিয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত ছিল একটি নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা। সেই কমিটিতে কারা থাকতে পারেন, তাও স্পষ্টভাবে তিনি আগে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আমল না পাওয়ায় পরিস্থিতি জটিল হয়।