Saturday, December 20, 2025
দেশ

দেহ পোড়াতে দালালদের দিতে হচ্ছে ১৫-২০ হাজার, দালালরাজ বন্ধ করুন: বিচারপতি

জয়পুর: করোনার সেকেন্ড ওয়েভ দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে। এখনো পর্যন্ত মারা গিয়েছেন ২ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ। তবে মানুষের এদেশে মরেও শান্তি নেই! কেননা করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা প্রাণ হারাচ্ছেন তাদের মৃতদেহ সৎকারেও বহু কাঠ-খড় পোড়াতে হচ্ছে পরিবার-পরিজনকে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃতদেহ পোড়াতে গেলে দিতে হচ্ছে দালালদের দিতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

এমনিতেই আপনজনদের হারিয়ে শোকে বিহ্বল পরিবার-পরিজন। তারই সুযোগ নিচ্ছে কিছু মানুষ। অভিযোগ, করোনা আক্রান্ত রোগীদের মৃতদেহ পোড়াতে দালালদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হচ্ছে। এমনই অভিযোগ পেয়ে এদিন রাজস্থানের উদয়পুরে জেলা আদালতের বিচারক কুলদীপ সূত্রকার (Kuldeep Sutrakar) এবং তাঁর টিম এলাকার চারটি শ্মশানঘাটে হাজির হন।

চারটি শ্মশানেই তিনি করোনা রোগীর পরিবারের সদস্য সেজে গিয়েছিলেন। শ্মশানগুলিতে দালালরাজ দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। বিচারক কুলদীপ সূত্রকার দেখেন, শ্মশানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা বেশ কয়েকজন দালাল মৃতদের পরিবারের কাছ থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমনকি করোনায় মৃত্যু না হলেও ঘুষ দিতে হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা।

রোগীর পরিবারের সদস্য সেজে কুলদীপ সূত্রকার দালালদের কাছে আর্জি জানান, মৃতদেহ সৎকারের টাকা কিছুটা কম নিতে! তখন দালালরা জানান, এই মুহূর্তে করোনায় মৃত রোগীদের সৎকারের রেট এটাই। এর থেকে কম নেওয়া যাবে না। এটাও বলা হয়, এই ১৫ বা ১০ হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু কাঠের খরচ ধরা হবে না। অর্থাৎ দেহ সৎকারের জন্য আলাদা করে কাঠ কিনে আনতে হবে মৃতের পরিবারের লোকজনকে। এছাড়া অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়ার বাকি খরচও রোগীর পরিবারকেই বহন করতে হবে।

তড়িঘড়ি সংশ্লিষ্ট দফতরকে এই দালালরাজ বন্ধের নির্দেশ দেন বিচারক কুলদীপ সূত্রকার। পাশাপাশি, পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেন। প্রতিটি শ্মশানে করোনায় মৃতদের পরিবারকে সহায়তা করবে ওই কমিটি। দালালরাজ বন্ধের ব্যবস্থা নেবে ওই কমিটি।

Somoresh Sarkar

গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডিজিটাল সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত।